পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঘোঁটবন, এ সত্যিই অতি দিল্লভ আনন্দ ! প্রায় একমাস লিখিনি। অনেক রকম ব্যাপার গেল মধ্যে। একদিন রাজপর রিপন লাইব্রেরীর উৎসবে কৃষ্ণধন দে, অপব্ব বাগচি, রমাপ্রসন্ন ও গৌরকে নিয়ে এখান থেকে গিয়েছিলাম। ভাঙা রাসমঞ্চে বসে ভািবলের সঙ্গে সেদিন খাব আনন্দ করা গিয়েছিল। মাচাতলায় বসে ফলির সঙ্গে অনেক গল্প করি। ফালিদের বাড়ি আবার ওরা চা খেলে। জ্যোৎসনা রাত্রে ওদের বাড়ির সামনে মাঠে বসে বেশ লাগছিল। তারপর ইস্টারের ছটির আগে একটা শনিবারে বনগ্রামে গেলাম এবং ছোটমামার ছেলের পৈতের জন্যে বৈকালের ট্রেনে রানাঘাট হয়ে এলাম। সেদিনটাতে নিজের মনের চিন্তা নিয়ে ভারী আনন্দ পেয়েছিলাম। মামার বাড়িতেও সন্ধ্যার সময় অনেকের ८७० रूाव्ाश्° शव् । ইস্টারের ছটিটাও এবার বেশ কেটেচে। খাকুরা ওখানে আছে। আমি বসে কাগজ দেখতুম, খকু এসে ডাকত ওদের উঠোন থেকে-বলত এদিকে আসন না। গিয়ে গলপ করতুম। ওদের রান্নাঘরে বসে কত গলপ করেচি। বনগাঁয়ের সরকারী ডান্ডার ও তাঁর সন্ত্রী একদিন গ্রামোফোন নিয়ে গিয়ে আমাদের বাড়ি হাজির। খাব গান হল। খকুরা ছাদ থেকে শনলে। আমি ও ইন্দ জ্যোৎসনা রাত্রে রোজ নদীর ধারে বেড়াতে যৌতুম-একদিন সুতুলির নৌকাতে পার হয়ে ওপারের উলটি বাচড়ায় বসে কত রাত পর্যন্ত গল্প Tর । খরকু একদিন বল্লে-চা খাওয়াব, সন্দেবোলা আসবেন। গেলাম সন্ধ্যাবেলা, কিন্তু সেদিন কি একটা কাজ পড়াতে চা খাওয়া আর হল না। সেদিন মরগাঙের ধারে বেলেডাঙায় পাঠশালার নীচে গিয়ে বসেছিলাম ইন্দর সঙ্গে। ইস্টারমানাডের দিন রত্নাদেবী দেখা করতে এলেন। তাঁদের সঙ্গে টাওয়ার হোটেলে খাব গলপ-গজব করি। তিনি তাঁর হাতে অাঁকা ছবি একখানা দিলেন रूाश । আজ বহদিন পরে গিয়েছিলাম নন্দরাম সেনের গলিতে সেই প্ৰসন্নদের বাড়ি ৷ বাল্যে এখানে কিছকাল কাটিয়েচি। আমার তরণী মায়ের মাখের শাঁখ যেন এই DBBB S Br BDBB BOT DLLL S BBDBL B BSDBBDDO rDDB SBDBDS প্রসনের মা মারা গিয়েছেন গত ফালগন মাসে। সেই মাখম বাড়ী এখনও বেচে আছে। গ্রীদ্মের ছটিতে দেশে এসেচি। বেশ লােগচে৷ এবার। ছটি হবার দদিন আগেই এসেছিলাম, বনগাঁয়ে প্রথমদিন দপারবেলা খয়রামারির মাঠে বেড়াতে গিয়ে বিলবফলের সগন্ধ আর দাপরের খর রৌদ্র, নীল আকাশ আমায় সমরণ করিয়ে দিলে একঘেয়ে কলকাতার সংকীর্ণ জীবন ছেড়ে মক্ত প্রকৃতির কোলে এসে পড়েচি। দিনদিন পরেই বারাকপাের এলাম, খকু এখানেই আছে, সে সকালে শিউলিতলায় দাঁড়িয়ে গলপ করে-বনসিমতলার ঘাটে আবার সেদিন ওর সঙ্গে দেখা নাইবার সময়ে, আজ দাপরে যখন ঝড় উঠল, ও এলো ছটে আম কুড়তে, আমি বিল-বিলের ধারের আম গাছটার দটাে আম ওর কাছ থেকে চেয়ে নিলাম—দটাে মোটে পেয়েছিল--দটোই দিয়ে দিল আমাকে। সন্নান করে এসে রোয়াকে দাঁড়াতেই ছাঁটে ওদের সামনের উঠোনে এসে জিগ্যেস করলে-বনগাঁয়ে যে বিয়েতে গিয়েছিলেন-বর কেমন হল তাদের ?...এসব ১৯৩৪ ॥৩৫ সালের সন্দর গ্রীন্মাবকাশ মনে এনে দেয়। 4