পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সত্যিই এবার ভারী ভাল লাগচে। এখানে এসে। একদিন কুঠীর মাঠে বৈকালে বেড়াতে গিয়েচি, দেখি দহজন লোক খাঁচা নিয়ে ফাঁদ পেতে ডাক পাখী আর গড়গড়ি পাখী ধরচে। গড়গড়ি পাখী ডাকে কেমন সন্দের! আমি ও-ডাক অনেক শানেচি কিন্তু ও যে গড়গড়ি পাখীর ডাক তা জানতুম না। কাল বৈকালে আদিত্যবাবর মেয়ের বিয়ের নিমন্ত্রণে বিকেলে গেলাম বনগাঁ। সঙ্গে ইন্দর ছেলে গটিকে গেল। চালকীপাড়ার মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে কি চমৎকার গ্রাম্যছবি-চাষার মেয়েরা ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের খাইয়ে হাত মািখ ধাইয়ে দিচ্ছে, কেউ বা কাঁথা সেলাই করচে ঘরের দাওয়ায় বসে। সারা পথ বেশ ঝড়ের মত হাওয়া-দর্পরের অসহ্য গমন্টের পরে শরীর যেন জড়িয়ে গেল। চাঁপাবেড়ের কাছে ভীষণ মেঘ ও কালবৈশাখীর ঝড়। ডালপালা, ধলোকুটা উড়িয়ে নিয়ে আসচে পথ দেখবার জো নেইঢং ঢেং করে ছটা বাজল। আমি একটা শিশগাছের গাড়িতে ছেলেটাকে নিয়ে বসি। বাসায় পৌছে। ওকে কিছর খাবার খাওয়ালম। মন্মথবাবর লিচতলার আড়ায় খব গলপ করে আদিত্যবাবার বাড়ি নিমন্ত্রণ খাই। গরমে কিন্তু রাত্ৰে ঘাম হল না। জলপাইগাড়ি ছাত্র-সমিতি থেকে সেখানে যাওয়ার নিমন্ত্রণ পেয়েচি, কিন্তু এখন যাওয়া অসম্ভব। আজ সকালে দজনে দিব্য হোটে বারাকপর এলাম। পথে চালকী দিদির বাড়ি গেলাম। দিদি যত্ন করে বেলের পানা, চা, ক্ষীর, কাঁটাল খাওয়ালেন। বাড়ি আসবার একটি পরেই নামল বন্টি। সেই থেকেই বাদলা চলচে—এখন বেলা గో গড়িগড়ি পড়চে। কাল গিয়েচে যেমন অসহ্য গরম, আজ তেমনি v. সপ্রভাকে পত্র দিয়েচি, তার চিঠিও এরই মধ্যে পাব আশা করচি। ইতিমধ্যে পিরোজপর থেকে যে নিমন্ত্রণ এসেচে, তারই কি করা যায় ভাবচি। সভাসমিতি করে বেড়ানো এ সময়টা মোটেই ভাল লাগে না। আজ সকালে গোপালনগরে গিয়ে অনেকগলো চিঠি ডাকে দিলাম। বাড়ি এসে আমতলায় চেয়ার পেতে বসে অনেক দিন পরে Cleopetra পড়চি, এমন সময় খকু আমার কাছ দিয়ে নদিদিদের বাড়ি থেকে গেল। ইচ্ছে করেই গেল, কারণ সপ্রভাকে চিঠি লিখতে চাইনি। সেই রাগটা নরম করাতে যে এল, এটি বেশ বোঝাই যায়। ওদের দাওয়ার এধারে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কত গলপ করলে। firstCGI varfs. The Croxley Master 3G Conan Doyle-as assig (GPs পড়তে পড়তে বেলা গড়িয়ে ফেললাম। উঠতে আর পারিনে—এমন কৌত হল। Coman Doyle (tTG GP 9tCGI first figGirl Wis A Straggler of 13 are vase দ্য একটা গলেপর মধ্যে দেখোঁচি, বড় শিলপীর কৌশল বৰ্ত্তমান। এত খাঁটিনাটি বর্ণনার ওপর দখল (অদ্ভুত দখল! ) নিম্নশ্রেণীর শিলপীর পক্ষে সম্পভব নয়। তবে সামান্য একট-আধটা সেকেলে clap.trap টেকনিক আছে—তা ধাত্তব্যের মধ্যে নয়। তারপর কুঠীর মাঠ দিয়ে আইনন্দির বাড়ির পেছনকার উচ্চ মরগাঙের পাড় পৰ্যন্ত গিয়ে সেখানে খানিকটা বসে রইলাম। বেলা একেবারে গিয়েচে। সেই যে রাখাল ছোঁড়া আমায় তামাক খাওয়াত, গত কাত্তিক মাসে যখন কুঠীর পেছনের বন-ঝোপের ধারে বসে ‘আরণ্যক’ লিখাতুম—সেই ছোকরা দেখি পলের নীচের ঘাট থেকে নেয়ে উঠচে। বল্লে-ভাল আছেন দাদাবাব ? কবে এলেন ? একটি পরে প্রমথ ও তার ভাই-এর সঙ্গে দেখা। সাইকেলে গোপালনগর থেকে