পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফিরচে। সে বনগাঁ স্কুলের মাস্টার। তার জানিবার একমাত্র দরকার দেখলাম ওদের স্কুলের ছেলেরা বাংলায় কত নম্বর পেয়েচে । সন্ধ্যা হয়ে গেল। বেলেডাঙায় গোয়ালাদের দোকানে বসে একটি গল্প করে। মাঠের মধ্যে দিয়ে এসে যখন আমাদের ঘাটে নাইতে নামলম-তখন অন্ধকার আকাশ তারায় তারায় ভরে গিয়েচে। সাঁতার দিয়ে গেলাম ওপারে। এপারের ঘন অন্ধকার বনঝোপে কি জোনাকি পোকার মেলা! ফিরে এসে খকুদের দাওয়ায় বসে কতক্ষণ গলপ করলাম-হীরাবাঈ ও কেশরীবাঈ-এর গানের সম্পবন্ধে, ‘Life of Emile Zola” ফিলম সম্পবন্ধে। খকু বল্লে —সেই যে কি একটা ফিলম দেখেছিলেন-পাহাড় থেকে পড়ে গেল, কি একটা চমৎকার, কথা আছে তাতে P। TOT ÎN VISINÈ KIKIGIS PIG3Î5, e “A Tale of Two Cities”-a3 ISIT (FLCD zi8-— <5QTG (GTT fas ? “I am the Resurrection and the Life, saith the Lord: He that believe in Me-aa. Fr's iC3 g (GT at-si, st —ঠিক। বল্লম-পাহাড় থেকে ফেলে দেওয়া তো নয়-গিলোটিনে যখন ওদের প্রাণদন্ড २5- ३३ ॥ ও বল্লে—ঠিক, এবার সব মনে হয়েচে । মনে এবার কেমন একটা অদভুত ধরনের আনন্দ ও উত্তেজনা। কাল পচার সঙ্গে বিকেলে কুঠীর মাঠের দিকে বেড়াতে বেরিয়ে যখন বেলেডাঙায়, কামার দোকান পয্যন্ত গিয়েচি, আইনদিদ চাচা ডাক দিলে। —কি চাচা, কেমন আছ ? চাচা বিদ্যাসন্দর ও মহাভারত দিব্যি মখস্থ বলে গেল। বল্লে, একখানা বিদ্যাসন্দর আমার ছেল, কে যে নিয়ে গেল! তারপর আমরা গিয়ে কলাতলার দোয়াতে বসলাম। ভারী সন্দের জায়গা | অনেকখানি জল আছে। জলের একধারে ফলে ফোটা হিণ্ডের ক্ষেত। জলের ধারে দীঘ দীঘী জলজ ঘাস। বেশ সন্দর ঠান্ডা জায়গা। দরে বট-অশবথের সারি। আজ বৈকালে কলাতলার দোয়াতে বেড়াতে গেলাম। চমৎকার ঝিঙের ফল ফটেচে। অনেকক্ষণ কাটালাম। বৈকালে--এদের সকলের কথাই মনে হল। ঘর সংক্রান্ত একটা গোলমাল হয়েচে, মটকা কাল ঝড়ে উড়ে গিয়েচে- ভগবান এ বিপদ থেকে উদ্ধার করন। অনেকগলো চিঠি নানা জায়গা থেকে আজ এসেচে। প্রকাশকদের নিকট থেকে, সভাসমিতি সংক্রান্ত ইত্যাদি। সপ্রভার চিঠিও ছিল। কলাতলার দোয়াতে জলের ধারে বসে কত কথা মনে এল। রেণির একখানা পত্ৰও পেয়েছি আজ অনেকদিন পরে। চাটগাঁয় গিয়েছিলাম। সেই কতদিন আগে—এখন আমাদের দেশের এই খেজারের কাঁদিভরা খেজর গাছ, ওল গাছ, ঝিঙের ক্ষেত, ধানক্ষেত, বট-অশবথের গাছ, ওপারে। আরামডাঙ্গার বাঁশবনে অস্তসায্যের হলদে রোদের দিকে চেয়ে সে কথা ভাবলে আশচয্য হয়ে যাই। গোপালনগর যাচ্চি, দারিঘাটার পল থেকে বাঁওড়ের ওপারের কি একটা গাছ, অনেকখানি নীল আকাশ-দেখে মনে হল এই অপব্ব প্রকৃতির সৌন্দয্যের পিছনে WA?