পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভদ্রলোকের মেয়ে ছিল পরমা সন্দরী, তার ব্যাপকে ওদের সে বখাটে মামা শোনালে যে সে পচাদের বিষয়ের আট আনার অংশীদার। বিয়ে হয়ে গেল-তারপর মেয়েটার কি দদশা! গলপােটা শানে মনে বড়ই কম্পট হল। জলের ধারে ঝিঙে ফল ফটেচে। পরিস্কার আকাশ, খেজর গাছে গাছে সবণবর্ণ খেজারের কাদি। একপাশে সবজি উলটি-বাচড়া, বড় বড় বট-অশবখ, শিমালগাছ। ওর মাখে গলপ শনি আর ওবেলার মনের সে আনন্দটা আবার মনে আনবার চেষ্টা করি। কত গাছ, লতা মোটা মোটা—একটাতে কেমন দলবার সবিধে আছে। বিলবপলেপির বাস এখনও আছে দ-একটা গাছে। বাঁওড়ের ওপারে কি সন্দির ইন্দ্রনীল রংয়ের আকাশ হয়েচে! আইনন্দি চাচার বাড়ি এসে বসি। আমার মনের আনন্দের সঙ্গে আইনন্দির বাড়ির একটা যোগ আছে। চাচা বসে খােলই বনচে। ওর সেই নাতি বসে বসে গলপ করতে লাগল। বেশ ছেলেটি। আমি বসে বসে ওপারের বট-অশািবশ্বের সারির দিকে চেয়ে রইলাম। কি সন্দির আকাশ, কি চমৎকার সবজি বনশোভা, কত কথা ‘মনে আছে, সপ্রভার কথা, সে লিখেচে, এবার আর দেখা হবে কবে ? সে কথা। দেখা ওর সঙ্গে করব শ্রাবণ মাসে, ঠিক করেই রেখেচি। সে সময় চেরাপঞ্জিতে আনারস খােব সস্তা হবে, সে সময় চেরাপঞ্জির বাজারের সেই খাসিয়া মেয়েটার দোকান থেকে আর বছরের মত একটা গোটা আনারস কিনে খেতে পারব, সে সময় যাব শিলং। এবার গ্রীন্মের ছটিতে যেমন অপব্ব দিনগালো কাটচে, এমন সত্যিই অনেক দিন কাটেনি। সেবারের বড়দিনকেও ছাড়িয়ে অনেক দরে চলে গিয়েচে, রসের ও আনন্দের অভিনবত্বে ও প্রাচায্যে। এদিন বিকেলে পচা রায়কে সঙ্গে নিয়ে যাইনি। ওর সঙ্গে বেরলে কেবল বাজে বকে। প্রকৃতির মধ্যে কিছশক্ষণ নিরিবিলি চপচাপ বসে চিন্তার আনন্দ উপভোগ করার জন্যে একাই গিয়ে মরগাঙের উচ্চ পাড়ে আইনন্দির বাডির পিছন দিকে রাস্তার "ধারে বসলাম। সঙ্গে সপ্রভার চিঠিখানা ছিল। ডাইনে মরগাঙের বাঁকে বাঁশ ঝাড় ও নতুন পাড়ায় গোয়ালাদের বাড়ি, ওপারে আরামডাঙায় ঝিঙেফল দা একটা ঝিঙে ক্ষেতে, পেছনে একটা কাঁটাল গাছে কাঁটাল ঝালচে, খেজর গাছে কাঁদি কাঁদি স্বর্ণবৰ্ণ খেজর—সত্যিকার ট্রপিক্যাল দেশের দশ্য! কলকাতা থেকে কত দারে, কত নিভৃত, শান্ত পল্লী অঞ্চল আমাদের এ দেশ-কেমন একটা অপরােপ শান্তি মাখানো। VEIKTI GRĮ Romance G Poetry-$ GEHANGIT, TOŤI ANCO CRI : Poetry es Romance এ আমি বেশ অনভব করলাম। কোথায় বিরাট দাঁতিলোকের সন্টি, আর কোথায় এই কাঁদি কাঁদি খেজর, ওই বেগনী রং-এর জলকচারির ফল, সিগন্ধ বেলফল সবই তাঁর মধ্যে কলপনারীপে একদিন নিহিত ছিল। “কলপনা সন্টিবীজাণ্ড”। কল্পনাই সন্টির বীজ। “যা সন্টি সুন্টরাদ্যাঃ"-কালিদাস কবি হলেও দার্শনিকের দটি তাঁর ছিল। আমরা সকল কবিই অলপ বিস্তর ভাবে দাশনিক তো বটেই। অনেক সময় তাঁরা যা দেখেন, দার্শনিকেরাও তা দেখতে পান না। এখানে ক'দিন ভয়ানক বিষা চলচে। সকালে উঠে বেড়াতে বার হয়েচি পিরোজপাের বলে একটা গ্রামের দিকে। পাশে একটা ছোট খাল। বাঙালি মাঝিরা নৌকো। QS