পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বনের পথে দেখা ঠিক পাটি দিদিদের বাড়ি থেকে নেমেই। ওরা সঙ্কুচিত হয়ে এক পাশে দাঁড়াতে যাচ্চে, বল্লম-চলে আয়। ও আমার দিকে পর্ণ দস্টিতে চেয়ে হাসতে হাসতে গেল, কি সন্দির হাসতে পারে! এক তরণ মাখের প্রসন্ন হাসিতে সারাদিনের মানসিক দৈন্য যেন এক নিমেষে ঘচে গেল। গিরীনদাদাদের কলাবাগানের মাঠে কতক্ষণ বসলাম, আকাশ রঙীন মেঘ-স্তপে ভরা-সবজি মাধবপরের চর, বাঁশবনের দলনি কেমন সন্দের! কত বছর চলে যাবে, ঐ বনাসিমতলার ঘাটে অনাগত দিনের তরণী বধ ও মেয়েদের জলসিক্ত পদচিহ্নে অাঁকা থাকবে একটি অপব্ব প্রণয়-কাহিনী-হয়তো কেউ কখনো বলবে, ছিল। এরা দশজন অতি প্রাচীনকালে-গ্রামের সিনপদ্ধ বসন্ত দিনের বাতাসে তার মােচ্ছ না থেকে যাবে। সকালে যখন বসে লিখচি, তখন আকাশ বেশ পরিস্কার ছিল, একটা পরেই এল বন্টি। একবার দেখি খকু বিলবিলে থেকে উঠে গেল, কিন্তু বোধ হয় খবই ব্যস্ত ছিল, তাই চেয়ে দেখল না। এদিকে। স্নান সেরে এসে যখন গেল, তখন বোধ হয় মনে পড়ল, তাই চেয়ে হেসে গেল। কালোর সঙ্গে বাঁওড়ের ধারের বটতলায় বেড়াতে গেলাম। একটা গাছে উঠে বসেচি, এক বন্ধ তার দই ছেলেকে নিয়ে বেলেডাঙায় কুটম বাড়ি যাচ্চে। আমার গাছের নীচে দাঁড়িয়ে কতক্ষণ গলপ করে গেল। সনান করতে জলে নেমে দেখি ভারী চমৎকার দশ্য ওপারের মাধবপরের সবজি উল বনের চরে। দাপরে যখন ঘরে শহয়ে আছি, তখন খাব বান্টি এল। বৈকালে বেড়াতে গেলাম বেলেডাঙার জলে—আবার ওবেলার সেই বেলেডাঙার ছেলেটার সঙ্গে দেখা। নদীজলে সনান করে আনন্দ হল, জ্যোৎস্না এসে পড়েচে নদীজলে। চমৎকার দেখাচে ৷ rns রোয়াকে খাব জ্যোৎস্না। চেয়ার পেতে বসেচি, খকু ডাকলে-প্রথমে ওদের শিউলিতলার উঠোনে দাঁড়িয়ে হাসাচে হি হি করে, তারপর ডাকলে-বল্লে, আসন না ? গিয়ে বসেচি, ও উঠোনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গলপ করচে। আমার ছটি ফরিয়ে এল শনে বলচে—আমিও ছ’ঘরে যাব। মা এখানে থাকবে। আপনি আর সেখানে যেতে পারবেন না, মজা হবে। বল্লম—মজা বেরিয়ে যাবে। বাকবি তখন। বল্লে--- তা বটে। বসে গলপ করচি, একবার বান্টি এল। আমার চেয়ার পাতা রয়েচে রোয়াকে, উঠতে যাচ্চি, ও উঠতে দেবে না। বল্লে—বসন, বসন, বান্টি ঐ থেমে গেল। বল্পে, কাল অতি সকালে উঠে গেলেন কেন ? বল্লম-পাঁচ কাকার ছেলের আশীব্বাদ হচ্ছিল, তাই। একটা ছোট গলপ বলতে বল্লে। কিন্তু সাধক-দাদার বাড়িতে একজন গায়ক এসেছিল, তার গান শািনতে বড় ইচ্ছে হল বলে চলে এলাম। বনগাঁয়ে যেতে হল নৌকোতে পচা রায় ও তাদের দই ভাইপোকে সঙ্গে নিয়ে। বার-লাইব্রেরীতে প্ৰফীল্লের কাছে বিশেষ দরকার ছিল, সেখান থেকে বীরেশ্ববরবাবর সঙ্গে দেখা করে মন্মথবাবার লিচতলা ক্লাবে বসে পিরোজপর ভ্রমণের গলপ করি। প্রায় সন্ধা হয়ে গেল। সন্ধ্যার পর নৌকো ছাড়া হল। মেঘলা আকাশে চাঁদ উঠেছে, ঝিরঝিরে বাতাস, পচা বেশ নানারকম গলপ করতে করতে এল। সখীপকুরের ঘাট থেকে সয়ারামকে উঠিয়ে নেওয়া হল। খাঁকু আজ এসে অনেকক্ষণ গলপ করলে ওদের শিউলিতলায় দাঁড়িয়ে। আমি তখন স্নান করে এসে সবে বসেচি, ঝমােঝম রোদে ও খাড়া দাঁড়িয়ে রইল উঠোনে, G8