পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ওপরের কথা যে বলা হল এটা কিন্তু ভালোবাসার অবস্থার প্রথম দিকের কথা নয়। অত্যন্ত প্রাইমারি সেন্টজে আলাদা কথা। সেখানে অনেক সময় ভালবাসা দিয়ে ঈপিসত বস্তুকে পাবার চেন্টা করতে হয়—সে অন্য কথা। যখন কেউ কাউকে ভালো জানে না, সে অবস্থায় কেউ কাউকে খাব খারাপ বা গায়ে পড়াও ভাবে না।--তখন দজনেই দজনের কাছে খানিকটা রহস্যমন্ডিত থাকে। কিনা-কেউ কাউকে খাব খারাপ ভাবতে পারে না। কিন্তু খানিকটা ভালবাসার পরে যখন দেখবে যে সে তোমার ভালবাসা নিতে পারচো না, নানা রকম চেন্টা করেও যখন তার মধ্যে ভালবাসার প্রেরণা দিতে পারবে না। তখন তার ঘাড়ে পড়ে ভালবাসা দিতে যেও না--তাতে সে বিরক্ত হয়ে উঠবে, তোমাকে ঘণা করবে, তোমার ভালবাসার মাল্য সে দিতে পারবে না। বরং উলেটাই হবে।--তখন उाcक Cछgg G। [। এই ডায়েরীটা লিখলাম কেন ? কোন ব্যক্তিগত কারণ আছে। কিন্তু সেটা আজ আর লিখলাম না। ] বিষ্ণপরে গিয়েছিলাম অনকোলবাবার নিমন্ত্রণে। কি অমায়িক ভদ্রলোক! কি আতিথেয়তা ও সৌজন্য ! সত্যি, আমন ব্যবহার, অমন একটি প্রীতিশত্ৰ পারিবারিকতার আবহাওয়া কতকাল ভোগ করিনি! বিষ্ণপরে জঙ্গলের মধ্যে প্রাচীন মন্দিরগলি আমার মনে এক অদভুত ভাব জাগিয়েচে। প্ৰসিদ্ধ দলমাদল কামান এখন লালবাঁধ বলে প্ৰকান্ড দীঘির একপাশে বসানো আছে। অনাকািলবাবার কাছারীর জনৈক পেয়াদা আমায় নিয়ে গিয়ে দেখালে। জোড়াবাংলা বলে একটি মন্দিরের পাথর বাঁধানো চাতালে আমি ও অনাকািলবাব বসে রইলাম সযোস্তের সময়ে। বড় ভালো লাগল। বাঁকুড়া ও মেদিনীপর জেলার মাটি রাঙা, সব শাল ও কোিদ বন-বড় চমৎকার দশ্য, কাঁকুড়ে মাটি, কাদা নেই-খটখিটে শকানো। দেখে ফিরবার সময়ে দরপ্রসারী। সবজি মাঠের প্রান্তে দিকচক্রবালের শোভায় বৈকালের দিকে কত কথাই মনে এল! দরে আমার গ্রাম-আজ রবিবার, এতক্ষণে সকলে হাটে যাচ্চে। যািগল ময়রার দোকানের সামনে ফণিকাকা দাঁড়িয়ে আছে, খাজনা আদায় করচে-এই ছবিই কেবল যেন মনের চোখে ভাসছিল। বন্যার জল অতি ভীষণভাবে আমাদের গ্রামের চারিদিক ঘিরচে। আজই সকালে চালকী থেকে এখানে এসেচি। প্রথমে মধ্য পাগলা (আদাঁড়ি জেলেনীর নাতি) মাছ ধরচে পাকা রাস্তার ধারে। সে পথ দেখিয়ে দিলে। সাজিতলার বাঁকে দাঁড়িয়ে নদীর দশ্য যেন পদ্মা কি সমদ্রের মত। থৈ থৈ করচে জলরাশি। আমাদের পাড়ায় রামপন্দর ঘরে বন্যাপীড়িত মানষেরা আশ্রয় নিয়েছে। নদিদি তেল দিলে—আমাদের বাড়ির পিছনে, শ্যামাচরণ দাদাদের চারা গাবতলায় সন্নান করলাম। বরোজপোতার ডোবা দিয়ে তর তরী করে শ্রোত চলেচে। ইন্দ রায়ের সঙ্গে জেলের নৌকো করে খকুদের চারা আমবাগান দিয়ে গেলাম বেলেডাঙ্গার আইনন্দির বাড়ি। সেখানে একটা গলাপ করে এপারে এলাম। বট অশবথের শ্যামবীথির কি শোভা ! সৰ্ব্বত্র জল, বটতলায় সাঁতার-জল, কিন্তু অপব্ব শোভা হয়েচে বটে ! চড়কতলার বাগানে নৌকো চড়ে গোঁসাই বাড়ির রাসােতা দিয়ে পাকা রাস্তায় এসে হোটে সাড়ে তিনটার সময় বনগাঁ, সন্ধ্যা পৰ্যন্ত খকুদের বাসায় বসে গলপ কার । ԵՀ