পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পর্ণিমার রাত্রে ব্ৰজেন বাড়িয্যে, সজনী, আমি, অমল্য বিদ্যাভূষণ, দেবপ্রসাদ ঘোষ এবং সবল এক সঙ্গে বম্পেব মেলে খড়গপর এলাম। হাওড়া স্টেশনে প্রথমেই হাসির ব্যাপার। একজন উঠে বল্লে, আপনারা কে লন্ডন যাবেন ? আমরা তো হেসে বাঁচিনে। যাচ্চি মেদিনীপর, বলে কে যাবে লন্ডনে!, সজনী তো হেসে গড়িয়ে পড়ে আর কি ! খড়গপাের নেমে মোটরে মেদিনীপর গেলাম কাঁসাই নদী পার হয়ে। S. D. O. ধীরেনবাব এসেছিল। আমাদের নামিয়ে নিতে। স্যর সব্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ ছিলেন সভাপতি, তিনি ও অমল্য বিদ্যাভূষণ এক গাড়িতে গেলেন-আমি, ব্ৰজেনদা, তারাশঙ্কর এক গাড়িতে। গিয়েই জ্ঞান চৌধরিী উকিলের বাড়ি ডিনারের নিমন্ত্রণ। প্রায় আশি জন লোক নিমন্ত্রিত। ডিনারের পরে ধীরেনবাবরে বাড়িতে আমরা অতিথি হয়ে রইলাম। সকালে সভা হল। রাধাকৃষ্ণণ বিদ্যাসাগর সমিতি-মন্দিরের ভিত্তি স্থাপন করলেন, আমি সে সময়টা একটা তেতুল গাছতলার ছায়ায় বসেছিলাম। তারপর দেবপ্রসাদবাব ও চৈতন্য দেবের সঙ্গে নাড়াজোল রাজার গোপপ্রাসাদ দেখে পরোনো গোপপ্রাসাদে একটা প্রাচীন বাড়ির ধবংসাবশেষ দেখতে গেলাম। বেশ সন্দর জায়গা এই গোপ, খাব উচু মালভূমির মত স্থান, সেগান ও কেলিকদম্পের্বর বন, বেশ ভাল লাগল। ওখান থেকে কাঁসাই নদীর এনিকাট দেখতে গিয়ে আমাদের ফটো নেওয়া হল। ধীরেনবাবরে বাড়ি দাপরে ব্রজেনবাব, সজনী সবারই নিমন্ত্রণ। বৈকালে আবার মিটিং-তারপর বার হয়ে ঝন দাসগঞ্জ বলে একটি মেয়ের গান শািনতে যাওয়া গোল ওদের বাড়িতে। ঝনর বাবা এখানকার D. S. P. রান্ত্রি দটোর ট্রেনে সেন্টশনে এসে ট্রেন ধরলাম, ধীরেনবাব ট্রেনে তুলে দিয়ে &ፃICGቫማ ! মহালয়ার আগের সোমবারে রেজোস্ট্রি আপিসে বারাকপরের বাড়িটা রেজেস্ট্রি করে নিলাম। রামপদ ও পটিদিদি এসেছিল। মহালয়ার দিন খকু ও খড়ীমাকে কলকাতায় আনলাম। অন্নপণার ঘাটে নেয়ে মদনমোহন ঠাকুর দেখে, Zoo, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল ও রপবাণী দেখে রাত দশটার গাড়িতে ওদের নিয়ে ফিরলাম। সেই শনিবার আবার বাড়ি গেলাম—খকুদের বাসায় রাত্রে খেয়ে সকালে চালকী। ইন্দ এল। তার সঙ্গে বারাকপাের। যাই। এখনও বন্যার জল থৈ থৈ করচে। সমদ্রের মত। এমন দশ্য কখনো দেখিনি। একমাসে অনেক ঘটনা ঘটল। আমি গালডি গেলাম পজোর ছটিতে, সেখান থেকে জবর নিয়ে ফিরলাম। বারাকপরে গিয়ে আট-নয় দিন ছিলাম। বড় নিন্তজািন, বিশেষ করে আমাদের পাড়াটা। সেখান থেকে রোজ রোজ মাছ ধরা দেখতে যৌতুম নদীর ধারে। ইন্দ মাছ ধরত-ওর একটা ভাঁড় আছে, সেটাতে মাছ পড়বেই পড়বে। গটিকে থাকত। মাছ খাব সস্তা হয়েছিল। সম্প্রতি কালীপ জোর আগে কলকাতায় এসেচি। চড়ামণি যোগ গেল। গত সপ্তাহে। রাত তিনটের সময় উঠে। জগন্নাথ ঘাটে ও তারাসন্দেরী পাকে গিয়ে ভলাণ্টিয়ারী করলাম, কত ছেলেমেয়ে হারিয়ে যেতে লাগল, তাদের যথাস্থানে পাঠালাম। আমাদের স্কুলের রামচন্দ্র দত্ত তার সেবা-সমিতির সেক্রেটারী, সে-ই আমায় যেতে বলেছিল। সকালে ফিরে বনগাঁ গেলাম। খকুদের বাসায় গিয়ে দেখি খড়ীমা গঙ্গাস্নানে じガ○