পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গিয়ে সবাই পড়ল। শয়ে। কিছদক্ষণ পরে মোটর মেয়েদের নিয়ে এসে পৌছল। দলের মা আর খকু দেখি বাঁশবাগান দিয়ে চলেচে নদীর ঘাটে। দলের মা বাঁশবাগানে এসে দাঁড়াল। তারপরে আমরা যখন নদীর ঘাটে যাচ্চি, তখন দেখি খকু আর দলের মা আর উমা আসচে। আমরা কুঠীর মাঠে গেলাম, ভাঙা কুঠীটা দেখলাম। তারপর মেয়েদের রেখে প্রথম আমরা এলাম বনগাঁয়ে। মেয়েরা পরে এলেন। সজনী, ব্ৰজেনদাকে নিয়ে গেলাম খকুদের বাড়ি। খকুর সঙ্গে কথা হল। তারপর বিরাট সাহিত্য-সম্মেলন স্কুলের হলে। সত্যবাবর পার্টির পরে সবাইকে রওনা করে দিয়ে খকদের বাড়ি এসে গলপ করলাম। খকু কাছের চেয়ারে বসে কাদম্পবরী পড়লে। ও আর আমি দীনজনে গ্রামে কেমন বেড়ালম। বীরভূম সাহিত্য সম্মেলনে তারাশঙ্কবদের বাড়ি এসে কদিন বেশ কাটালাম। কাল পরিপণ জ্যোৎস্না-রাত্রে বীরভূমের উদার, উন্মান্ত মাঠেব মধ্যে এক জায়গায়। বসলাম। জ্যোৎস্নালোকিত মাঠের মধ্যে বসে দরের দিকে দণ্ডিণ্ট নিবন্ধ করে খকুর কথা ভাবলাম। ওর দ্বারা আমার যে অভাব পরিণ হয়, তা আব্ব কারো দবারা যে হয় না তা বলাই বাহাল্য। ওর স্নেহ, প্রীতি, ভালবাসা, হাসি, চোখের ঢাহনি, ছাদে প্রতীক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা-এ সবই আমার জীবনের একটা মস্ত অভাব পণ করেচে। এই কথাটাই লাভপরে এসে পৰ্যন্ত মনে হয়েচে-বিশেস করে কােল ওই নিজজন মাঠের মধ্যে বসে দরে দিগন্তের জ্যোৎস্না-পলাবিত তালীবনের দিকে চেয়ে চেয়ে—আজি সতবন্ধ রৌদ্রদগধা দাপরের মাঠের দিকে বেড়াতে গিয়ে- ওই কথাই মনে হয়েচে বা কাল নিম্পমালশিববাবদের বাড়ির পেছনে সন্ধ্যাছায়াচ্ছন্ন প্রান্তরের মধ্যে একা বসে ওর যে ছবিটি মনে এসেচে সেটি হচ্চে—এই শনিবার, ছাদে দাঁড়িয়ে ও প্রত্যেক ঘোড়ার গাড়িখানা সাগ্রহদন্টিতে দেখচে । মধ্যে এখানে সপ্রভা এসেছিল—তার সঙ্গে একদিন ইডেন গাডেনে বেড়াতে গেলাম। তারপর সে চলে গেল। একদিন আমার মেসে এল সকালে প্রীতি সেনা বলে একটি মেয়ের সঙ্গে। ওকে শেয়ালদ’ সেন্টশনে তুলে দিয়ে এলাম। তারপর বাড়ি গিয়ে খরকুদের সঙ্গে এসব গলপ করি। খড়ীমার আসখ হয়েচে। খকু ও আমি বসে অনেক গলপ করি। মনোরমা ও তার বরের সঙ্গে ঘোড়ার গাড়িতে বারাকপার গেলাম। প্রচার আমের বউল হয়েচে দেশে, বউলের ঘন গন্ধ সৰ্ব্বত্ৰ। ন দিদির সঙেগ গলপ করি। কিশোর বোল্টাম রোয়াকটা ঝাঁট দিয়ে দিলে। বরোজপোতার বাঁশবনে ডোবার ওপারে কি চমৎকার একটা চারা শিমল গাছে শিমল ফল ফটেচে। শ্যামাচরণদা'র সঙ্গে গলপ করি। খকুদের বাড়ির দিকে কেউ নেই।--যেন শান্য! খকুর কাছে সে গলাপ করি দাপরে গিয়ে। খকু বলে, “বসন, জিরিয়ে যাবেন।” তারপর মাধব ঘোষাল একদিন তার বৌদিদি, মােসীমাকে নিয়ে বারাকপরে গিয়ে বাঁশবনে বসল-মায়ের কড়াখানা দেখে এল। ক্ষেত্রবাবার সঙ্গে একদিন Salt Lake দেখতে গেলাম। পরশ গিয়েছিলাম নটর কৰ্ম্মস্থলে বেলডাঙা। আজ ফিরোচি। কাল এমনি সময় মােসীমা, বোমাকে নিয়ে বহরমপরে গিয়েছিলাম। জ্যোৎস্না রাত্রে গঙ্গার ধারে ঠিক যেন ইসমাইল।পরের মত মনে হল। তারপর জীবনের কত পরিবত্তন হয়ে গেছে उादव्भ! আজ ফিরোচি তিনটের ট্রেনে। দােপর রোদে সারাপথ ঘামিয়েচি—তবে, বীরনগরের কাছে ঘোটফল দেখোঁচি খাব। দরে এই ফালগন দাপরে একটি মাত্র গ্রাম। এত গ্রামের মধ্যে, যেখানে একটি মাত্র মেয়ের কথা মনে হয়। শিউলিতলায় ডোবার ধারে দাঁড়িয়ে ህታq