পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—না না, বেশ। তবও পাপোশখানা হাতে নিয়ে সাগ্রহ মাখে দাঁড়িয়েই রইল দরজার কাছে। তার সেই হাসি হাসি মাখখানা বেশ মনে পড়ছে এখনও। সন্দির উত্তজবল মখখানা। গতকাল রামনবমীর হাফ ছটি পেয়ে রাজপরে ফলিদের বাড়ি গেলাম। ওরা সত্য মজমিদারের ভেতরের বাড়িতে আছে। অনেকদিন পরে সত্য মজমিদারের ভেতরের বাড়িতে গেলাম। সেই পকুরধারাটিতে কতকাল পরে আবার দাঁড়ালম। আমার সাহিত্য-জীবনের আরম্ভ হয়। এই পাকুর পাড়ের ঐ দেবদার গাছটা দেখে। কি অপব্ব ভাবই হত মনে! এই শনিবার (২রা) বাড়ি গিয়ে মখোজ্যেদের ওখানে খাব গ্রামোফোন বাজানো গেল। গত ঈস্টারের ছটিতে খকুকে গ্রামোফোন শোনাব বলে বনগাঁয়ের ডাক্তারবাবকে কত বলে বারাকপরে নিয়ে গিয়েছিলাম। এবার ও নিজেই একটা গ্রামোফোন পেয়েচে মাধব ঘোষালের কাছ থেকে। আমায় রেকর্ড চেয়ে আনতে বলেছিল। ওরাও দেখি, দিলীপ রায়ের আর বছরের ভাল গান ‘এই পথিবীর পথের পরে প্রভৃতি ভাল গানগলো পেয়েচে। সেদিন রবিবারে রাতে এগারোটা পয্যন্ত আমায় উঠতে দেয় নাকেবল বলে-“এইটে শনে যান না! লাইলি মজনাের পালটা শনে যান।" বহি লোক এসেচে, চা করচে খব, আর বলচে-“রবিবার দিনটাই কি সব যত ভিড় ! অনা দিনও তো আসলে পারত। গান শািনতে।" ওর জন্যে প্রাণপণে ঘরে রেকড সংগ্রহ করেচে। ওর দাদা, বনগাঁর সব জায়গা ঘরে চে! আমায় বলেছিল- আমিও অপব্ব বাবার বাড়ি থেকে, দেবাশিসের কাছ থেকে, গণপতিবাবকে বলে নানা জায়গা থেকে অনেক রেকর্ড যোগাড় করেচি। বীণা চৌধরিীর গান, দিলীপের, জ্ঞান গোঁসাই-এর গান ইত্যাদি। ভারী উৎসাহ লেগেচে রেকড সংগ্রহ নিয়ে ও গান বাজানো নিয়ে। সেদিন বল্লে -এবার টিপ আনবেন আমার জন্যে। বল্লাম।--বেশ । —আর কি আনবেন ? -दका व } -কলকাতায় আর একবার যেতে হবে। --যেও, ভালই তো। -টিপ আনবেন ঠিকই। মধ্যে গেলাম রাজসাহী নওগাঁ। রাত্রে মোটর নিয়ে গেলাম মহাদেবপাের জমিদার বাড়ি। সেখান থেকে পাহাড়পাের। প্রায় সত্তর মাইল মোটরে বেড়ানো গেল। এ শনিবারে বনগাঁ গিয়েচি-পান্নারা নিয়ে গেল বাসে। যখন যাচ্ছি তখন খকু দেখি জানলার কাছে বসে গ্রামোফোন বাজাচ্চে। সকালে অনেকক্ষণ গলপগজব করেছিল—আমায় বল্লে, টিপ ফরিয়ে গিয়েচে, টিপ আনবেন। কিন্তু। আজ একুশ বছর পরে বারাকপরে কালীর সঙ্গে বেলডাঙ্গা বেড়াতে গিয়ে মরগ্যাঙের ধারে সেই উচ, জায়গাটাতে বসলাম। ১৯১৮ সালের মে মাসে প্রথমে শ্ৰীবশরিবাড়ি থেকে এসে ওকে সঙ্গে নিয়ে ওখানে বসে গলপ করেছিলাম। আজ আবার এত বৎসর পরে ওর সঙ্গে মরগাঙের ধারে বসেচি সেই মে মাসেই।। জীবনের trసి