পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্রভা এসেছিল। তার পত্র পেয়ে গত সপ্তাহে দেওঘর। যাই। কি যত্নই করলে ও! জামার হাতটা ছিড়ে গিয়েছিল—কাছে বসে বসে সেলাই করলে, ওর এ রকম সেবাযত্ন পাওয়ার সহযোগ কখনো ঘটেনি। জীবনে। তারপর ওর কথা বড় মনে হচ্ছে। ক'দিন মনে হচ্ছে। কাল রাত্রে শয়ে শয়ে ওর কথা ভেবেচি। খাকুর সঙ্গে দেখা হয়নি। সেই পজোর ছটির পর থেকে-বোধ হয় আর দেখা হবেও না, কারণ বনগাঁর সঙ্গে আমার কোন যোগই তো আর রইল না! এক মাসে আরও কি পরিবত্তন। সপ্রভাকে কি দঃখই দিলাম! আজিও সে একখানা চিঠি পেয়েচে আমার। তার কথা সব্বদাই মনে হচ্চে। শিলং একবার যেতে হবে শীগগির। গত সরস্বতী পজোর দিন ঘাটশীল গিয়ে তিন, শান্ত, অমরাবাবকে সঙ্গে নিয়ে পাহাড়ে উঠলাম। সবৰ্ণরেখা পার হয়ে। ভোরে ডাকলে এসে হীরবাব। তারপর মোটরে আমরা অর্থাৎ বদ্ধদেব, আমি, রমাপ্রসন্ন, তিন বা বাস গেলাম বনগাঁ। অজিতবাবার বাড়ি চা খাবার সময়ে S, D. O. ও মন্সেফ এবং মনোজ বাস সেখানে। তারপর ঘোটফােল ফোটার পথের মধ্যে দিয়ে আমরা বনগাঁ গেলাম। একবার মনে হল যেন আমার বাসা আছে। এখানে-জাহ্নবী রান্না করচে, সনান করে গিয়েই খাব। বারাকপাের এলাম। পঞ্চবটীতলায় গাড়ি দাঁড়াতেই ফণিকাকা, খাঁদ, হরিপদদা এল। এদের দেখে কন্ডট হয়। কি সংকীর্ণ ক্ষেত্রেই পড়ে রয়েচে । পণিতির জীবন অনভব করলে না। ফণিকাকা বল্লে-আজ গোপালনগরে বড় মারামারি হবে ভোট friC-(Tai(\5 IIG, NTP As if I care for votes all: 4 (G3 G3t qia --তারপর নদীর ধারে যেতে ওরা সব মায়ের কড়াখানা দেখলে। সত্য কি শ ভক্ষণে কড়াখানা কেনা হয়েছিল! আজি কত বছর হয়ে গেল। কত লোক দেখে গোল v62NT বনসিমতলায় ওরা বাসল, আমি ও রমাপ্রসন্ন বনের মধ্যে তুততলায় বসলাম। সপ্রভার পত্ৰখানা পড়লাম।-ইস্টারে শিলং যেতে লিখেচে। সত্যি, কি ভালো মেয়ে vs ভূষণ মাঝি ঘাটে নাইচে। সনানের সময় সাঁতার দিয়ে ওপারে গেলাম। তারপর এলম বাড়ি, খাকুদের বাড়ির মধ্যে গিয়ে একবার দাঁড়াই। কতবার এমনি ঘোটফােলফোটা চৈত্রদিনে বনগাঁ থেকে দােপর রোদে বারাকপরে হোটে এসে ওকে ডেকেচি ওদের রান্নাঘরে গিয়ে—আজি কোথায় কে ? সব শান্য। ইন্দ এসে গলপ করলে, আমাদের সঙ্গে নদীর ধারা পৰ্যন্ত গেল। তারপর আমরা মোটরে গোপালনগরে এসে দােগা ময়রার দোকানে লাচি ভাজিয়ে খেলাম। আজ হাটবার, তবে ভোটের জন্যে অমত কাকা, চালকীর বিভূতি সবাই যাচ্ছে। হরিহর সিং তার দোকানে ডাকলে । মনে পড়ল। গত জ্যৈািঠ মাসে ভান্ডারকোলা থেকে ফিরবার দিনে এর দোকানে বসেছিলাম। আর বসলােম এই। তখনি বনগাঁ—সেখান থেকে বেনাপোল হরিদাস ঠাকুরের পাটবাড়ি। এই ছ’ঘরের পথেও এই চৈত্র মাসে এই তিনটের সময় কত গিয়েচি। পাটবাড়িতে কতক্ষণ বসে আবার বনগাঁ । মন্মথবাবার বাড়ি সেই বিকেলে সেই রকম বসে সপ্রভার গলপ করি। সপ্রভার প্ৰশংসা শতমখে করেও আমি যেন ফরোতে পারিনে। SNA