পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

BDDDSDDD DBuS DB BD BBSBBS DBD BBD DBBuDS DDD BDBBBDBD uDuD থর মন্দিরের কাছে রেণ, কল্যাণী ওরফে চণ্ড জল খেয়ে নিল। যেমন আমি

  • [म्लूनार বলি চণ্ড, রেণ, অমনি বলে বাহির হইল! চঞ্চলা বাহির হইল!” অর্থাৎ আমার ।

গ্রাম্য-জীবনের লেখক হবার সেই আশচয্য ঘটনাটির কথা। একটা গাছের ফটো নিতে গিয়ে ওদের জোঁকে ধরলে। জোঁক অবশ্যি আমাকেও ধরেছিল। আসবার পথে ওরা তেতুিল পাড়লে একটা গাছ থেকে-তারপর ওদের বাড়ি এসে সবাই ভাত খাওয়া গোল সন্ধ্যাবেলা। রেণ বল্লে—আপনার সঙ্গে এ সম্পক আর কখনও জীবনে পাব না! কত গলপ করতে করতে রাত্ৰি নাটার সময় চাটগাঁ এলাম। রত্না দেবী খাবার করে নিয়ে বসে আছেন।--ভাগ্যে আজ সীতাকুন্ডে থাকি নি! তার পরদিন। সকালে উঠে কেশব জিনিস নিয়ে সেন্টশনে এল। রেণরে বই কেশবের হাতে দিয়ে দিলাম। চন্দ্রনাথের পাহাড় ধর্ম সেন্টশন থেকে বোকে উত্তর-পশ্চিম দিকে চলে গিয়েচে একেবারে হিমালয় পৰ্যন্ত। কি নিবিড় ঘন বনানী পাহাড়ের মাথায় । ওই একটা বিভিন্ন জগৎ যেন। ব্রাহ্মণবেড়িয়া সেন্টশনে আসবার সময় মনে হল অনেক আগে একবার এ পথে গিয়েছিলাম—তখন আমার কি ছিল ? এখন কত কে আছেসপ্রভা আছে, কল্যাণী আছে, খকু আছে। ময়মনসিং সেন্টশনে আসবার আগে এল বন্টি। আজ কিন্তু ময়মনসিং স্টেশন ছাড়তেই গারো পাহাড় বেশ দেখা গেলবিদ্যাগঞ্জ বলে একটা সেন্টশন থেকে চমৎকার দেখা গেল। সন্টীমারে যখন পার হচ্চি, ময়মনসিং জেলার টাঙ্গাইল মহকুমার পিংনা বলে একটা সেন্টশনে এসে সন্টীমার দাঁড়াল। আমি কলপনা করলাম সন্ধ্যায় নেমে আমি অনেকদিন পরে যেন কল্যাণীদের বাড়ি ওর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি। হরেন ঘোষ আমার সঙ্গে ময়মনসিং সেন্টশনে দেখা করলে। আবার বিদ্যাময়ী হোসেন্টালটা ভাল করে দেখলাম। মায়া ও কল্যাণী এখানে পড়ত। হরেন ঘোষকে রমা দেবীর দেওয়া খাবার খাওয়ালাম। সিরাজগঞ্জে ট্রেনে উঠেই শহয়ে পড়লাম। ঘাম ভেঙে একেবারে দেখি ঈশবরাদি। তারপরই ঘামিয়ে পড়লাম—দেখি রাণাঘাট। ভোর হবার দেরি নেই। আবার ঘামিয়ে পড়লাম-দেখি নৈহাটি। দেশে এসে গিয়েচি। সন্টীমারের এঞ্জিনের কল প্রতিবারই দেখি-এবারও দেখলাম। পজোতে খাব বেড়ানো গেল এবার। ঘাটশিলা, বনগাঁ, বারাকপাির, চাটগাঁ, ময়মনসিং-বহ, জায়গা। কলকাতায় নেমে দেখি শ্রাবণ মাসের মত মেঘাচ্ছন্ন দিনটা। বাটিও বেশ নামল দােপারে। আজই বনগাঁ হয়ে বারাকপাের যাব। আনন্দের বিষয় এই যে, ১৯১২ সালে ব্রাহ্মণবেড়িয়া হয়ে চাটগাঁ থেকে যখন কলকাতায় ফিরি, তখন আমি ৪১নং মিডজাপারের যে দিকের মেসন্টায় থাকতুম এবারেও সেইখানে এসে উঠোঁচ। আজ স্কুল খালেচে। বনগাঁ থেকে এলাম। আগের লেখাটা লিখবার পরে বারাকপরে দাদিন ছিলাম। আমার উঠোনের গাছে খব। শিউলিফলে ফটেচে। খরূকুর কথা কেবলই মনে হল সেখানে গিয়ে। কুঠীর মাঠে যেখানে বসে ‘আরণ্যক’ লিখাতুম, সেখানটাতে বসে কতক্ষণ কাটালাম। নৌকো করে বিকেলে খাকুর মা'র সঙ্গে বনগাঁ আসবার সময় মনে পড়ল-১৯৩৯ সালের আষাঢ় মাসে খকুর মা, খাক এবং আমি বনগাঁয়ে এসেছিলাম। কল্যাণীর সঙ্গে দশদিন কাটিয়ে গেলাম ঘাটশিলা। সেখানে এল বিভূতি মােখাজ্যে। তাকে নিয়ে ভাটী চাজী সাহেবের মোটরে গালাডি। প্রোফেসার বিশবাসের বাড়িতে মেয়েদের পার্টিতে আমাদের নিমন্ত্রণ হল। সেই রাত্রেই রাঁচী রওনা হই বিভূতিকে নিয়ে। মারী জংশন থেকে রাঁচী যাওয়ার রেলপথের দ SO