পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধারে আরণ্য সৌন্দয্যের তুলনা হয় না। পরদিন রাঁচী থেকে অনেকগলি মেয়ে ও কলেজের ছেলেদের সঙ্গে হােডর ও জোনা জলপ্রপাত দেখতে গেলাম। জোনাতে সন্ধ্যার আগে একখানা পাথরে বসে কত কি ভাবলাম। হােডরর চেয়ে জোনা ভালো লাগল। কি জনহীন নিস্তব্ধতা চারিদিকেরা! মেয়েদের আসতে দেরি হতে লাগল, আমি ও বিভূতি ঘাসের উপর শতরঞ্চি পেতে শায়ে রইলাম। কতক্ষণ। সপ্রভা, খাকু, কল্যাণী, গৌরী—সবার কথাই মনে হয়। ওদের সবাইকে আমার প্রীতির অঘ্য নিবেদন করি মনে মনে। সপ্রভার চিঠি পেয়েছি রাঁচী এসেই। জোনাতে সে চিঠিখানা আমার পকেটে। জঙ্গলের মধ্যে বসে কতবার পড়ি। কল্যাণীর চিঠিখানাও। রাঁচী শহরটি বেশ সন্দর! সনিৰ্ম্মমল বসা ওখানে বেড়াতে গিয়েচে, তার সঙ্গে একদিন মাঠের ধারে বেড়াতে গেলাম। রাঁচী থেকে ফিরে ঘাটশিলা এসে দেখি ছোটমামা এবং নটর “বশ্যর সেখানে। কমল একদিন বেড়াতে এল। চলে এলমে কলকাতা। সেইদিন ছিল সকালে হাওড়ার পল খোলা। সন্টীমারে গঙ্গা পার হই। নাটার ট্রেনে মানকুন্ড। খাঁরকু আমাকে দেখে কি খশি। কত গলপ, কত কথা। বাইরের দরজায় খিলা দিয়ে এসে বসল। এতদিন পরে ও স্বীকার করলে, ছাদ থেকে রাঙা গামছা ও-ই উড়িয়েছিল। চেহারা খারাপ হয়ে গেছে। দেখে কষ্ট হল বড়। আসবার সময় বল্লে —চেয়ে দেখলে দেখতে পাবেন আমি জানালায় দাঁড়িয়ে আছি। সত্যি দাঁড়িয়েই রইল । সপ্রভার কথা কত হল। কল্যাণীর কথাও বল্লাম। সেই দিনই রাত সাড়ে আটটার ট্রেনে বনগাঁ। “বঙ্গশ্ৰী'র সাধাংশ যাচ্ছিল, তাকে ডেকে আমার গাড়িতে তুলে নিয়ে গলপ করি আমার ভ্রমণের। বনগাঁ পৌছে সন্দর জ্যোৎস্নার মধ্যে হোটে চললাম। বাড়ির সব দরজা বন্ধ করে ওরা ঘাম দিচ্চে। সনিীতিদের বাড়ি এসে বসলাম । সন্ধীরবাব গিয়ে ডেকে তুল্লে। পরে একদিন কল্যাণীদের সঙ্গে নৌকো করে বারাকপরে গেলাম পিকনিক করতে। আমাদের পাড়ার ঘাটে বনসিমতলায় কল্যাণী রান্না করলে। গ্রামের ঝি-বৌয়েরা আলাপ করতে এল । ওরা আমার বাড়িতে বসে গান করলে। সব এল শািনতে। ইন্দ রায়ের বাড়ি গৈল সবাই মিলে। জোৎস্না রাত্রি, বশিবনের মাথায় আমাদের বাড়ির পিছনে বহিস্পতি ও শনি জ্যোৎস্নােভরা আকাশেও যেন জলজৰলা করচে। নৌকো ছাড়লাম। কল্যাণী আমার সঙ্গে বসে গলপ করলে নৌকোর বাইরে বসে। ঘাটবাঁওড়ের এপারে জ্যোৎসনাভিরা মাঠের মধ্যে চা করলে। কি চমৎকার লাগছিল! একটা বড় উলকা সে সময় বেগনি ও নীল রংয়ের আলো জবালিয়ে আকাশের জ্যোৎস্নাজাল চিরে প্রজবালন্ত হাউইবাজির মত জবলতে জবলতে মিলিয়ে গেল। সন্দর কাটল এবার পজোর ছটি। গাড়িতে গাড়িতে কাটল সারা ছটিটা। কোথায় চাটগাঁ, কোথায় রচিী! আজি ফিরোচি কলকাতায় বরিশাল এক্সপ্রেসে বনগাঁ থেকে । জীবনে অনেক পরিবত্তন হয়ে গেল ওপরের ওটা লিখবার পরে। গত অগ্রহায়ণ “মাসে আমি বিবাহ করেচি। সম্প্রতি সন্ত্রীকে নিয়ে ঘাটশিলা গিয়েছিলাম। একদিন সবণ রেখা পার হয়ে পাহাড়-জঙ্গলের পথে চললাম। ওকে নিয়ে। বনের মধ্যে একটা ঝণা আছে, তার ধারে বড় বড় পাথর পড়ে আছে-এক ধরণের কি ঘাস গজিয়েচে । coIa Golia Rai (coclo sperma Govripium) RG5 SPIPIRICy 3Gr একটা পাহাড় ডিঙিয়ে ছোট পাথরে বসলাম ছায়ায়। তারপর ঝর্ণার জল খেয়ে চললাম পাহাড়ের দিকে। ওপরে যখন উঠোঁচি, তখন বেলা দটো। ও গোলগোলি SOS