পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কত দশ্যকে তুচ্ছ করে দিলে। বনগাঁ এসে একদিন বারাকপাের গিয়েছিলাম। ইন্দর সঙ্গে নদীর ধারে বসে গলপ করলাম, হাজারি সিংয়ের দোকানে বসে রেজিনা গাহের গলপ হ’ল। হাজারি সিং বল্লে-সে দেখ নি তোমরা, সাক্ষাৎ সরস্বতী ! অথচ ও কখনো নিজেই দেখে নি। হাডাক জিঙ্কের গলাপও হল— যেমনি আজ গত ১৫ ॥১৬ বছর কি তারও বেশি হয়ে আসচে। গাড়ি পাঠিয়ে ওঁরা জামাইষস্ঠীতে নিয়ে গেলেন। তারপর ষািঠীর দিন হঠাৎ প্রশান্ত মহলানবীশ, কাননীবালা ও মিসেস মহলানবীশ গেলেন বনগাঁয়ে। সেখান থেকে গেলেন বারাকপরে। আমার রোয়াকে গিয়ে বসলেন। শ্যামাচরণদা। চা ও খাবারের ব্যবস্থা করলে ৷ আমি আষাঢ় মাসে একদিন গেলাম পাটশিমলে। পথে ভীষণ কাদা—বলদেঘোঁড়ামারি এক গ্রাম্য পাঠশালায় বসে মৌলবী সাহেবের সঙ্গে গলপ করি। সেখানে জল খেয়ে আবার রওনা হই। একটা বটগাছের তলায় বসি। তারপর আসসিংড়ি গ্রাম ছাড়িয়ে, জামাদা বিলের আগাড়ের সেই শিকড়-তোলা বটগাছটার তলায় গিয়ে বসলাম । পাটশিমলে পৌছে পিসীমার মাখে। কত পরোনো কথা শনি। পেছনের বাঁওড়ে বর্ষার দিনে হিজল গাছের ঘাটে কত তৃপ্তি! সন্ধ্যাবোলা ডাঙা-উচ, বনের মধ্যে দিয়ে প্যাটাঙির দিকে হাজরাতলার ধারে বেড়াতে গেলাম। সেই জামগাছের শেকড়টাতে, বসলাম। তার পরদিন আবার সেই পথেই ফিরি। ঘাটশিলাতেও গিয়েছিলাম। দ্বিজবাবর ওখানে, সন্ধ্যায় বসে রোজ গলপ হত । একদিন খাব বর্ষা। সন্ধ্যার আগে আমি সনীলদের বাড়িতে এক স্বামীজীর সঙ্গে দেখা করতে গেলাম। ফিরবার সময়ে নদীর ধারের পথ হয়েই ফিরলাম। এক জায়গায় নাবাল জমিতে অনেকখানি জল বেধেছিল। বৌমা ও উমাকে নিয়ে একদিন ফলডংরির পেছনকার শালবনে বেড়াতে গিয়েছিলাম। কি সন্দের কুরচি ফল ফটেচে বনে। একটা ঝর্ণা বর্ষার জলে ভরপরু, একে বেকে চলেচে বনের মধ্যে দিয়ে }, ফলডুংরি পাহাড়ে প্রায়ই সন্ধ্যার সময় বেড়াতে যৌতুম। একদিন ঘন বর্ষায় সন্ধ্যার সময় একা কতক্ষণ পাহাড়ের ওপর বসে বসে ভাবলাম। এ ফলডুংরি কতদিনের। পলাশীর যন্ধের দিনেও এমনি ছিল, আকবর যেদিন সিংহাসনে আরোহণ করেন তখনও এমনি ছিল, বন্ধদেব যে রাত্রে গহিত্যাগ করেন তখনও এমনি ছিল, যখন মহেঞ্জোদাড়ো ও হরপপার সভ্যতা বৰ্ত্তমান, যেদিন সম্রাট টটেনখামেনের মতদেহ সাড়ম্বরে সমাধিস্থ করা হয়েছিল—সেদিনও এই ফলডংরি এমনই ছিল, আজ যার ওপর ধলভূম রাজার পাক তৈরী হচ্চে। বনগাঁয়ে এবার খকু ছিল অনেকদিন। সেই ১৯৩৯ সালের খকু আর নেই।b প্রায়ই সন্ধ্যায় কল্যাণীকে নিয়ে বেড়াতে যৌতুম। ও গেল ৪ঠা আষাঢ়, সেদিন কল্যাণীকে সঙ্গে করে ওদের ছাদে বসে গল্পগজব করা গেল। সন্তুও ছিল, রামদাসের মেয়ে । খয়রামারি শামশানের পাশে মন্মথদা, যতীনন্দা, বিভূতিকে নিয়ে বিকেলে বেড়াতে যৌতুম। ওটা নতুন আবিস্কার। ইছামতীর জলে স্নান করে কি তৃপ্তিই পেতুম। এবারে কি ভীষণ গরম গেল। নেয়ে তৃপ্তি নেই ঘাটশিলায়। ইছামতীতে সন্ধ্যার সময়েও নাইতুম। শরীর যেন জড়িয়ে যেত ঘাটশিলার পরে দেশে এসে। ঘাটশিলাতে নাইবার কি কম্পটই গেল। ক'দিন। একে গরম, তাতে ভাল করে সন্নান করবার মত পকুর নেই।b দ্বিজবাবর পকুরের ঘোলা জলে একদিন নেয়েছিলাম। যতীনন্দাকে গ্রহ-নক্ষত্রের কথা খাব বলতাম। Jean's ও Eddington-এর Astronomy-টা এ ছটিতে খাব পড়া গিয়েচে ও আলোচনা করাও গিয়েচে। রোজ NSNDR