পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিনটের সময় কল্যাণীকে লকিয়ে ও তার বকুনি সহ্য করেও ওদের আন্ডায় চলে যৌতুম। যতীনন্দা দেখতুম বসে আছে। দজনে আরম্ভ করতুম গ্রহ-নক্ষত্রের গল্প। কল্যাণীকে সন্ধ্যার সময় পারতপক্ষে বেরতে দিত না। অন্ধকারে পালালে। ছটে গিয়ে ধরে আনত। ছাদে শতাম প্রায়ই গরমে। মাঝরাত্ৰিতে দাজনে নেমে আসতাম। সকালে খরকুর বাড়ি যেতামই। ভালো কথা, রেণীর সঙ্গেও দেখা হয়েছিল। এই ছটিতে। যেদিন ঘাটশিলা যাই, তার আগের রাত্রে। বিভূতি মখায্যে, মনোজ এবং আমি বনগাঁ এলাম। গোপাল নিয়োগীর বাসায় যেতে ফলির ছেলের সঙ্গে দেখা, সে নিয়ে গেল ওদের বাসায়। সেখানে ফলির মার কাছে রেণার ঠিকানা নিয়ে চলে গেলাম। ক্যাম্পেবলের সামনে দেখা করতে। রেণই এসে দোর খালে দিলে। খাব খাশি আমায় দেখে। সিড়ির নীচে পৰ্যন্ত নামিয়ে দিয়ে গেল। একখানি চিঠিও দিয়েছিল। পরী থেকে-নািট নিয়ে গিয়েছিল ঘাটশিলাতে-বোমা ছিলেন। চমৎকার গ্রীন্মের ছটি শেষ হল। দেবীপ্রসাদ রায় চৌধরিীর বাড়ি আন্ডা দিতে গেলাম সজনী, মোহিতদা, বিভূতি মািখযো ও আমি। কলকাতার রাস্তা-ঘাট অন্ধকার। অনেক রাত পৰ্যন্ত খাওয়া দাওয়া করে ফিরলাম। ২৪ পরগণার ম্যাজিস্ট্রেট হিউজেস সাহেবও সেদিন সেখানে ଟt | আজ একটা সমরণীয় দিন। বহকাল পরে আজ আমার বহকালের পরিচিত আবাস। ৪১, মীডজাপাের সন্ত্রীটের মেস ছেড়েচি। সেই হরিনাভি স্কুলের থেকে আজ পয্যন্ত, অর্থাৎ ১৯২৩ সাল থেকে ওই মোসটাতে ছিলাম। এতকাল পরে আজ ছেড়ে অন্যত্র আসতে হল, কারণ মোসটা গেল উঠে। বিভূতি, দেবব্রত, খাকু, সপ্রভা, রেণকত লোকের সঙ্গে ও-মেসের সন্মতি সখে-দঃখে ছিল জড়ানো। গত রবিবার। ৬ই জলাই নড়াইল সাহিত্য সম্মেলনে আমি ছিলম সভাপতিবনগাঁ থেকে যতীনন্দা, মন্মথদা, মিতে এদের নিয়ে গিয়েছিলাম। সিঙ্গে সেন্টশনে নেমে একটা দোকানে খাবার তৈরী করতে বলে আমরা ভৈরবের ওপরে কাঠের পালে গিয়ে বসলাম। জ্যোৎস্না রাত্রি। বাঞ্ছানিধি বলে জনৈক উড়িয়া ওপারে জঙ্গলবাধাল গ্রামে থাকে।--সে তার মানিবের কত নিন্দে করলে। তারপর ময়রার দোকানে এসে লাচি সন্দেশ খেয়ে একখানা এক ঘোড়ার গাড়িতে এলাম আফ্রিার ঘাটে। সেখান থেকে নৌকো করে কবন্ধতে বসে গলপ করতে করতে জ্যোৎস্না রাত্রি ভাল করেই উপভোগ করা গেল। মিতে ও আমি নৌকোর ছই-এর ওপর গিয়ে বসে যতীনন্দাকে বার বার ডেকে ও ছইয়ে ঘা মেরে তার ঘামের ব্যাঘাত করছিলাম। ভোরে পিয়ারের খালের ধারে নৌকো লাগল। সেখান থেকে ডিস্ট্রিক বোডোর রাস্তা দিয়ে হেটে গেলাম রতনগঞ্জ। একটা দোকানে খেলাম খাবার। তারপর টাকুরে নৌকোতে উঠে, নড়াইল গিয়ে অজিতবাবার বাসায় হাজির হই বেলা সাড়ে-আটটার মধ্যে। বৈকালে সভা সেরে চা-পাটিতে সস্থানীয় S.D.O. মন্সেফ প্রভৃতির সঙ্গে গলপ। একটা নাটকাভিনয় দেখতে গেলাম টাউন হলো--তারপর অনেক রাত্রে খেয়ে গোেরর গাড়িতে রওনা। বেশ জ্যোৎস্না রাত্রি। খাব ঘন ঘন বন, বেতঝোপ পথের ধারে। আবার পিয়েরের খালে নৌকোয় উঠলাম। যতীনন্দাকে সবাই মিলে উত্ত্যক্ত করে তোলা গেল, কেন অজিতবাবার সামনে ভাড়া চেয়েছিল, এই কথা বলে। রাত্রে নৌকো থেকে পড়ে যাবার মত SS