পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাত্র দেখবার সহযোগ পেলাম সেনেটের সামনে। তারপর ট্রেনে চলে এলাম বনগাঁ । শ্রাবণের মেঘনিম্পমািক্ত নীল আকাশ ও ঘন সবজি দিগন্ত বিস্তীর্ণ ধানের ক্ষেতের শোভা দেখতে দেখতে কেবলই মনে হচ্ছিল গগনে গগনে নব নব দেশে রবি न्मद 2ाgऊ ऊाCी नदीका ऊन्मका जख्छঅনেকদিন আগে ঠিক এই সময়ে রবীন্দ্রনাথের ছিন্নপত্র’ পড়তে পড়তে বারাকপরে ফিরেছিলাম--মায়ের হাতের তালের বড়া খেয়েছিলাম, সে কথা মনে পড়ল । কল্যাণীকে শবাধারের শেবত-পদ্ম দিলাম, সে শনে খাব দঃখিত হল। তারপর হরিদার মেয়ের বিয়েতে গেলাম তাঁর বাড়ি। খেতে বসে খাব বান্টি এল। তারপর ক'দিন ছিলাম বনগাঁ। খকু এল অসস্থি অবস্থায়। রাত্রে কল্যাণীকে নিয়ে দেখা করতে গেলাম ওর সঙ্গে। আবার পরদিন নিশিদার বাড়িতে বৌভাত তাঁর ছেলের। সেখানেও গেলাম—যাবার আগে খকুদের বাড়ি গিয়ে গলপ করলাম। কিন্তু মনে কেমন যেন একটা শনাতা-রবীন্দ্রনাথ নেই! একথা যেন ভাবতেও °३ा ८ व्षा । গত জন্মাস্টমীর দিন বিকেলে এখানে এলো বিভূতি, মন্মথন্দা। ওদেব নিয়ে প্ৰথমে গেলাম। শিবপর লাইব্রেরীতে-তারপর রাত ন’টার ট্রেনে রওনা হয়ে নােমলাম গালাডিতে। ভোরের দিকে সবর্ণরেখার পল পার হয়ে শাল-জঙ্গলের পথে উঠলাম এসে কারখানার চিমনিটার কাছে। কতকালের পরিত্যন্ত তামার কারখানা। --লোকও নেই, জনও নেই। গররা নদীতে স্নান সেরে সবাই মিলে পিয়ালতলার শিলাখন্ডে বসে জলযোগ সম্পন্ন করলাম। তারপর তামাপাহাড় পার হয়ে নীলবৰ্ণায় নামলিম। সেখান দিয়ে আসবার পথে একটা ঝর্ণার জল পান করে আমরা একটা ছোট দোকানে কিছ চিগড়ে ও চা কিনি। একটি ছোট্ট মেয়ে দোকানে ছিল, সে চার জল গরম করে দিলে। তারপর ঘন বনের পথে হোটে পাটকিটা গ্রামে পৌছে গেলাম। গ্রামের বাইরে যে ছোট ঝর্ণাটি, সেখানে বসে আমরা কিছ খেয়ে নিলাম। তারপর আবার হোটে রাণীঝণার পাহাড় পার হয়ে ওপরে উঠলাম—দরে সবর্ণরেখা আবার দেখা যাচ্চেবেলা তখন তিনটে। মশাবনী রোডে নেমে কেদাড়ি গ্রামে পল্লীকবি বিষ্ণদাসের বাড়ি এলাম। তারপর চা খেয়ে তিনঝির্ণা পার হয়ে আমরা সবৰ্ণরেখার খেয়াঘাটে ডোঙায় নদী পার হলাম। ভট্টাচায্য সাহেবের বাংলোয় বসে গলপ করে ঘাটশিলার বাড়ি এলাম। রাত্রে সেখানে বিধায়ক, কমল, অমর প্রভৃতির সঙ্গে বসে খাওয়া গেল । পরদিন সকালের ট্রেনে চলে আসি কলকাতায় ও রাত সাড়ে-আটটার ট্রেনে বনগাঁ । কল্যাণীর সঙ্গে ভ্রমণের গলপ করি। খকু এখানে এসেচে, তার সঙ্গে গিয়ে গলপ করি একদিন কল্যাণীকে নিয়ে ছাদে বসে। এবার পজোর ছটি কাছে এসেচে। কি ভীষণ পরিশ্রম গিয়েচে—গ্রীমের ছটির পরে এই কাটা মাস—বিশেষ করে গত এক মাস। সব্বদা লেখা আর লেখা !...খেয়ে সখি নেই বসে সখি নেই। রোজ ভোরে উঠে কলঘরে। যাই স্নান করতে, তখন ভাল করে অন্ধকার কাটে না, পাশের বাড়ির আলো জবালে—এসে সেই যে লিখতে বসিএকবারে বেলা দশটা। আর তিনটি দিন পরে ছাটি-কাল দাপরের পর থেকে খাটনির অবসান হয়েচে। সব লেখা দিয়ে দিয়েচি-হাতে আর কোন কাজ নেই। আজ তো একেবারেই ছটি। ওবেলা বিদ্যাসাগর কলেজে Study Circle-এ এক SSct