পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রোজই বলে, রোজই কথা অবহেলা করি।-অথচ ও বলতে ছাড়ে না একদিনও-সেই সুন্নাসরে যেতে নাহি দিব-ও সড় সরলা! অমন সরলা মেয়ে আমি কোথাও 2 TN আজ ছটি হলে শািনলাম স্কুলে শারদীয় উৎসব হবে। কিন্তু সে উৎসবে আমি থাকতে পারি নি—বড় দেরি হয়ে গেল বলে যোগ দিতে পারলাম না। এলম এম. সি. সরকার, মিত্র ও ঘোষ, 'দেশ' আপিস, ফলের মায়ের বাড়ি, ক্ষিতীশ ভাটােচজের "মাসপয়ল' আপিস ও তারপর বাসা। কল্যাণীর কথা কিন্তু বড় মনে হচ্চে আজ সারাদিন। তার চোখে জল দেখে, এসোচি ভোরবেলা। বারাকপরে গ্রাম্যজীবন কিছদিনের জন্যে যাপন করবার বড় ইচ্ছে—কতদিন যে এ ধরণের জীবন কাটাই নি—মাটির সঙেগ যোগ রেখে.গ্রামা গহসােথ সেজে। আবার সেই শৈশবের জগৎটা আবিস্কার করব-এই মনে আকাঙক্ষা। আমাদের বাড়ির পেছনে বাঁশবনে, এই শরৎকালের দাপরে গাছপালায়, ঘাঘর ডাকে কি যেন মায়া মেশানো ছিল—বনভূমি যেন স্বপ্নমাখা, ১৯৩৪ সালের দোলের সময়েও আমি তেমনি স্বপনমাখা দেখেছি বনভূমিকে--মাত্ৰ সাত বছর আগে। কিন্তু শহরের কলকোলাহলময় ব্যস্তসমস্ত জীবনযাত্রার মধ্যে যে সমিতি আমার মনে ক্ষীণ হয়ে আসচে, যে জীবনকে ভুলে যাচ্চি, আবার সে জীবনকে আস্বাদ করবার জন্যে ব্যগ্র হয়ে পড়েচি-অন্ততঃ কিছদিনের জন্যও আমায় তা করতে হবে। অন্য লোকে সে কথা কি বঝবে ? কল্যাণী কাল বলছিল। আর বছরের মত—আমার গা ছয়ে বলে যান, আধা ঘণ্টার, २८<ा उठाउन6दन्म ! তা এলাম না। ওর মনে দঃখ হল। গা ছয়ে বল্লে’ তাই যদি না করা যায়, তবে মানষে মরে যায় জানেন? এও আপনি করলেন ! লোকের জীবন-মরণটাও দেখলেন না ? এই সন্ধ্যায়। সেকথা ভেবে মনে কম্পট হচ্চে- ওর কথাটা শানলেই হোত ছাই। মিথ্যে ওর মনে কেন কম্পট দেওয়া ? ওর তরণ মনের স্নেহ ও আগ্রহকে বার বার করে ঠেলে গেলাম। অবহেলায়তবও ও বোঝে না, মনে কিছ ভাবে না-আবার সেই রকমই বলে। কাছের মসজিদে আজান দিচ্চে। ক'দিন খাব ভোরে বিছানায় শয়ে আজানের শব্দ শনে ভাবলাম-এবার রাত ভোর হয়ে এসেচে। আর সে কি আনন্দ ! সেই নীচের কলতলায় গিয়ে সন্নান করে আসব।

  • পজোর ছটি আজ শেষ হয়ে সঙ্কুল খালেচে। আজ এসেচি বনগাঁ থেকে { পরশ ঘাটশিলা থেকে যাই বারাকপরে। মহাষ্টমীর দিন কল্যাণীকে নিয়ে ঘাটশিলা যাব পািব্ব থেকেই ঠিক ছিল—সপ্তমীর দিন নকফলে জয়গোপাল চক্রবত্তীর বাড়ি নিমন্ত্রণ খেয়ে এসে পরদিন সকালেই রওনা। শেষরাত্রে ঘাটশিলা পৌছােব। মেসে ওকে নিয়ে এসে দেখি দাডিজলিং-এ দেখা সেই ছেলেটি ও সঙ্কুলেব দটি ছাত্র উপস্থিত। ওদের সাথে গালপগজব করে কেটে গেল সময়টা। তারপর রমাপ্রসল্লেম্বর বাড়ি নিয়ে গেলাম। তারা জলটল খাওয়ালে। ফিরেই হাওড়া স্টেশনে গিয়ে খানিকটা অপেক্ষা করার পরে নাগপাের প্যাসেঞ্জার ধরলাম। মিতে আছে ওখানে--- শেষরাত্রে আমাকে ঘাটশিলা পৌছতেই সে তামাক সেজে নিয়ে এল। তারপর ভোর, হতেই বেড়াতে বেরই আমরা।

গালাডিতে দ্বিজবাবার সঙ্গে হেটে যাবার দিন যথেষ্ট আমোদ পেয়েছিলাম—আরী: SSA