পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাকালের বিরাট পটভূমি নিত্য, শাশবত-তার সামনে জগতের রঙ্গমণ্টে কত নরনারীর আসা যাওয়া ! ভালো কথা, গত মাঘ মাসে কলকাতায় সম্প্রভার সঙ্গে দেখা হয়েছিল, তার একটি খাকী হয়েচে, নাম তার রেখেছে রাখী, বেশ খাকীটি। সপ্ৰভা আমার খাকীর কথা কত জিজ্ঞেস করলে। রেণ্যর সঙ্গেও এবার কলকাতায় দেখা, সে বেথনে পড়চে সেকেন্ড। ইয়ারে । বোমা পড়বার তৃতুঞ্জয় দিনে তারা পালিয়ে গেল। কলকাতা থেকে তাদের দেশে। এখনও ফেরেনি দেখে এলাম। এখানে এসে জীবন আরম্পভ করেছি। আট মাস পরে। আজ সকালে ইছামতীতে নাইতে নেমেছি, বেলা ৮টা হবে, শান্ত নদীজল, ওপারে সবজি ঘাসোিভরা মাঠ ও ঝিঙে-পটলের ক্ষেত, এপারে ফণি, চক্কত্তির জমির বাগান, সাইবাবলা ও শিরীষ গাছের অাঁকা-বাঁকা ডাল-পালার সৌন্দৰ্য্য। কোকিলের ছেদহীন কজন সকালের আকাশ যেন ভরিয়ে রেখেচে, প্রসফট তুতি ফলের সবাস বাতাসে। কাল মোড়লের ছেলে গনি ও নগেন খড়োর ছেলে ফাঁচ ঘাটে নাইচে । গনি আমের চালান নিয়ে গিয়েছিল নফর কোলের বাজারে। একচল্লিশ দিন কলকাতায় ছিল, আজ এসেচে। দেশে এসোঁচি আজি চারদিন, এখনও এখানকার নতুনত্ব কাটেনি। ভগবানের সন্টির মধ্যে যে কত সৌন্দয্য তা দেখবার সহযোগ ও সংবিধা কি সকলের ঘটে ? চৈতন্যকে প্রসারিত করে দেওয়া চাই, নতুবা শােধ চোখ দিয়ে দেখলে কিছই হয় না। মনকে তৈরি করে নিতে হয়। এজন্যে, এর সাধনা চাই। বিনা সাধনায় কিছ হয় না। উচ্চতর অনভূতির জন্যে মনের আকতি সব্বাগ্রে প্রয়োজন। আকতি থেকে ইচ্ছা, ইচ্ছা থেকে কম্পমা-প্রবত্তি। আজ হাওড়া সঙ্ঘ থেকে রবীন্দ্র-জন্মোৎসবে সভাপতিত্ব করবার তাগিদ এল। কলকাতা থেকে ফিরোঁচি কাল বৈকালে। ইউনিভারসিটির মিটিংএ সেখানে অনেকদিন পরে সনীতিবাব ও বহর পরোনো বন্ধ বান্ধবের সঙ্গে দেখা। মায়াদি ও বেলকে নিয়ে রাত ৯টার সময়ে বাণী রায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে কলকাতার অন্ধকার ভরা রাপের সঙ্গে অত্যন্ত প্রত্যক্ষ পরিচয় হয়েছিল । গ্রামে ফিরলাম রবিবার বৈকালে, বেশ একটা মেঘবলিট দেখা দিলে, সামান্য একটা কাল-বৈশাখী বৈশাখের বিকেলে। তারপরেই আকাশে দেখা দিলে রাঙা মেঘস্তােপ, আমি বেড়াতে গেলাম নদীর ধারের মাঠে, গাছপালার কি চমৎকার সৌন্দয্য। মদ্ধ করে দেয়। আমাকে, চেয়ে দেখে সত্যিই বিসময় লাগে। কত কি গাছ, কত ধরনের পাতা। বিশবরাপের কত কি রাপ! যেদিকে চোখ পড়ে অবাক চোখে চেয়ে থাকি। বরোজপোতার বাঁশের বনে কচ ঝাড়, বেত গাছের মত পাতা কি একটা গাছ, তারই পাশে বাঁশের ডগা নত হয়ে আছে —নিভৃত নিরালা বনভূমি, কোথায় সেই নাকটিটাঁড়ের শালবন করন্ধা পাপ-সবাসিত অপরাহের বাতাস, মাঠাবর পাহাড়ের শিখররাজি। বিরাট হস্তীমান্ডের মত পরিাদশ্যমান কাঁড়দাবােরর শিখর।--আর কোথায় বাংলার শ্যাম সৌন্দৰ্য্য। নদীজলে বিকেলে নাইতে নেমে ইছামতীর কালো জলে দেখি ভগবানের আর একটি রপসন্টি। विनि जाऊ विनि अवहट्ठ यिन्ाि 6भाख्छन् ७a कर्गऊऊCब्जहङ উপনিষদের ঋষিরা শােধ দার্শনিক ছিলেন না, দ্রািন্টা ছিলেন, কবি ছিলেন। পরশ এলাম। উত্তরপাড়া রাজবাড়ীতে রবীন্দ্র জন্মোৎসব সম্পন্ন করে। মাস্টার মশায় অতুল গগুপ্ত, সজনী, বন্ধদেব, বাণী রায় সবাই এক সঙ্গে যাওয়া গেল। বেশ c