পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মজা করে মিটিং করা গেল-ভাটপাড়ার আকাশলতার সঙ্গে দেখা হলে অনেকদিন পরে -প্রায় আঠারো বছর পরে। ঘটে গেল জিনিসটা আমার সেই গলপটির মত। একটি ছোট ছেলে এসে বল্লে, “আপনাকে আমার মা ডাকচোন।” গেলাম। একটা পরোনো দোতলা বাড়ী-রাজা জ্যোৎস্নাকুমার মখোপাধ্যায়ের 326 5८ ।। একটি মেয়ে এসে ঝাঁপ করে নীচ হয়ে পায়ের জন্তোর উপর দহাত বলিয়ে বল্লে—”দাদা, কেমন আছেন ? কি ভাগ্যি যে আপনি এলেন। এখানে!” «?NTة SITTIة وG »-- “হ্যা দাদা। এখন বড়-মানাষ হয়ে গিয়েচেন-আপনি কি এখন গরীব বোনকে চিনতে পারবেন ?” ঠিক একটি ছোট গলপ। কিছদিন আগেই এ গলপ আমি লিখোঁচ কি একটা द60ठ । পরদিন ফিরলাম বনগাঁয়ে। সেন্টশনে নেমে অস্বরপরের একখানা গরর গাড়ী যাচ্চে-- তাতেই চড়ে বসলাম-প্রথম শেওড়া গাছ ভাট গাছ দেখে আমার কি আনন্দt এবার বিভূতিদের বাড়ী গিয়ে উঠেছিলাম। সিংস্কৃভূমের ডিভিসনাল ফরেস্ট অফিসার মিঃ সিনহা হঠাৎ এসে হাজির। পচা রায় ও আমি ওঁকে নিয়ে বেলেডাঙ্গার পলে গেলাম। চাঁদ উঠেচে, আজ পণিমা । ঝাড় ঝাড় সৌদালি ফল মাঠে। কত ঝোপে ঝোপে। পাকা বৈচি তুলে খেতে খেতে আমরা গেলাম। ক্লান্ত দেহে জ্যোৎস্নালোকে ইছামতীর জলে এসে নামি আমাদের বনসিমতলার ঘাটে। মিঃ সিনহা সাঁতার দিয়ে একেবারে ওপারে—তিনিও ছিল। উঠে মাধবপরের সবােজ ঢেউ-খেলানো ঘাসের মাঠ দেখে এল ওরা। পরদিন S. D. O-কে আনালাম, হাট থেকে ফিরে এসে দেখি S. D. O. ও সরেন বসে। তাদের চা খাওয়ানো গোল—নিগ্রোর প্রতি আমেরিকানদের অত্যাচারের কত কাহিনী বৰ্ণনা করেন। মিঃ সিনহা। তার আগের দিন উষা চৌধরিী এসে হাজির। আমি নারায়ণদা'র শ্রান্ধে নিমন্ত্রণ খেতে সবে বসেচি—এমন সময় কল্যাণী চিঠি লিখে পাঠালে—মিসেস চৌধরিী এসেচেন। উনি এখনি চলে যাবেন। তখনি এসে দেখি। উষা সত্যিই খাটের ওপর বসে আছে। ওকে নিয়ে আমরা সবাই গেলাম নদীর ধারে। উষা নদী দেখে খব খশি-বালিকার মত খশি। অতএব বোঝা গেল বিদেশাগত দটি লোকেরই ভাল লেগেচে আমাদের সবচ্ছসলিলা ইছামতী- -পলিনশালিনী ইছামতী। আবার কাল কলকাতা গিয়ে সজনীর সঙ্গে উষাদের বাড়ী বেড়াতে গিয়ে বহনকাল পরে অশিবনী—আমাদের ৬০, মিজাপাের সন্ত্রীটের সেই বাল্যবন্ধ, অশিবনীর সঙ্গে था । অনেকে গলপ করাচি—উষারা কাল চলে যাচ্ছে লাহোরে-অনেকে দেখা করতে এসেচে-হঠাৎ ওর মধ্যে একটি লোক বল্লে-বিভূতি না ? অবাক হয়ে বললাম--চিনতে পাবচি নে তো ? —তা চিনতে পারবে কেন ? অশিবনী। তখনি আমি তার শার্ট ধরে টেনে আনতে আনতে বললাম—দাও দিকি আমার প্রথম বিয়ের সেই ঘড়িটা—। আজ ২৭ বছর পরে দেখা-সেই সময়ই ও আমার ঘড়িটা নিয়ে গিয়েছিল--গৌরীর বাপের দেওয়া সেই পকেট ঘড়িটা। কত বছর আগে ! V