পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাকি সমন্দ্রে ঝাঁপ দিয়ে পড়েন-আজ ৪৫o বছর আগের কথা। সেই সমদ্র এখনও ঠিক তেমনি আছে, সেই তরঙ্গ-ভঙ্গ, সেই নিজজন বালােতাট, সেই ঝাউবনশ্রেণী, সেই উদাস অস্পন্ট চক্রবালরেখা। বীরেন রায় আজ সকালে প্রাচীন তোসালি নগরের অনেক পরোনো পথি, পোড়ামাটির খেলনা, পাথরের মালা ইত্যাদি দেখালেন। উড়িষ্যার প্রাচীন শিলা সংগ্রহ. ইনি করে এসেচেন চিরকাল ধরে। কত টাকা নন্ট করেচেন এদের পেছনে। অথচ ক্লিভল্যান্ড মিউজিয়ম থেকে যখন ত্ৰিশ হাজার টাকা দিয়ে ওঁর সংগহীত জিনিসগলি, কিনতে চাইলে, তখন উনি তাদের না দিয়ে সামান্য ছ হাজার টাকা নিয়ে আশীতোষ, মিউজিয়মে দান করলেন। আজ গালডির সেই হরিপদবাবা ভোরে আমার এখানে এসেছিলেন। সবাই মিলে খাব আন্ডা দিয়ে চা খাওয়া গেল। ‘আদশ মিস্টান্ন ভান্ডার-এ-তারপর ওরা সব মচিপাড়ায় গিয়ে জাতো দেখলে। বন্দোবন মল্লিক এসে রামকৃষ্ণ মিশন, লাইব্রেরীতে নিয়ে গেল। চক্ৰতীর্থে জ্যোৎস্নায় বেলাভূমির বালার ওপর বসে অনেকক্ষণ আন্ডা দেওয়ার পরে ফিরে এলাম আমার বাসায়। কত রাত পয্যন্ত সেখানে আন্ডা। বীরেন রায় একবার এক বড় বদ্ধমত্তি জঙ্গলের মধ্যে কি ভাবে আবিস্কার করেছিলেন, সে গলপ করলেন। হঠাৎ বন্ধের ধ্যানি-প্ৰশান্ত সন্দির মািখ দেখে বলে উঠলেন, বন্ধং শরণং গচ্ছমি, সঙঘং শরণং গচ্ছমি, ধৰ্ম্মং শরণং গচ্ছামি। ঢেনকানল সেন্টটে এক প্রাচীন মন্দির দেখতে গিয়ে উনি পড়েছিলেন king cobra-র হাতে । ভগবান সব্বভুতে আছেন ভেবে হঠাৎ নাকি মহিম্পনস্তোত্র আবত্তি করতে আরম্ভ করলেন চোখ বাজে। অনেকক্ষণ পরে চোখ খালে দেখলেন সাপ অদশ্য হয়েচে । দাপরের পরে গোবধােন মঠে গিয়ে একটি চমৎকার গোপালমাত্তি দর্শন করলাম । দোর বন্ধ রয়েচে দেখে আমি দোর খালে গিয়ে মেজেতে চাপ করে বসলাম-কেমন একটি সঘাণ বেরচ্ছে পলিপ ও চন্দনের। শেবত প্রস্তরের মেজেতে ঠান্ডা ও শান্ত পরিবেশের মধ্যে গোপালের মাত্তির সামনে বসে রইলাম। কতক্ষণ। সকালে উঠে সামনের ঘরের বড়ো-বাড়ীকে নিয়ে হরিদাস ঠাকুরের মঠে গেলাম। ও পরিষোত্তম মঠে অনেকক্ষণ ধরে ধৰ্ম্ম-উপদেশ শািনলাম। “যা নিশা সব্বভূতানাং তস্যাং জাগত্তি সংযমী, সব্বদা জেগে থাকতে হবে। আলসাই পাপ। আসবার সময়ে শঙ্কর মঠের শ্ৰীগোপাল বিগ্রহ দেখে চলে এলাম। ছোট্ট ঘরটিতে পািৰ্লপ-চন্দনের সবাস। আহারের পর একটা বিশ্রাম করে কল্যাণী ও উমাকে নিয়ে যাচ্ছি—একটি বাড়ীতে কথকতা হচ্চে ‘প্ৰহাদ-চরিত্র” এর। অনেকক্ষণ বসে শািনলাম। মন্দিরের কাছে হরিদাস ঠাকুরের সিদ্ধ বকুল দেখতে গেলাম। ৫oo বছরের পরোনো বকুল গাছ আজও দাঁড়িয়ে! মোহান্ত মহারাজের সঙ্গে আলাপ হোল। কলকাতার একটি সন্দরী মহিলাকে “মা” বলে মনটাতে বড় ভক্তি হোল । আজ সকালে বীরেন রায়ের বাড়ী বসে তাঁর দলভ প্রত্নতাত্ত্বিক সংগ্রহাবলী দেখতে দেখতে হঠাৎ মনে হোল, আজ না পয়লা আষাঢ়। চলন গিয়ে কালিদাস উৎসব করা যাক। এমন সময়ে এল। বন্দোবন মল্লিক, বল্লে—আপনি বলেছিলেন 'দেবযান পাঠ করবেন লাইব্রেরীতে-অনেক লোক এসে বসে আছে। গেলাম। যাবার আগে সিদ্ধেশ্ববরবাবদের বাড়ী ‘রমা ভিলাতে গিয়ে খানিকটা বসলাম। ১৯২৩ সালে একবার সিন্ধেশবরবাবদের বাড়ী থেকে এখানে আসবার SO