পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেখলাম সেই বিরাট অরণ্যের প্রাচীন বনস্পতি শ্রেণীর মধ্যে শক্লিা চতুৰ্দশীর জ্যোৎস্নার রােপ। জ্যোৎস্নাসনাত বিশাল অরণ্যানী যেন প্রাচীন ঋষির মত শান্ত, সমাহিত। এক-একটা গাছ নাকি ১৫o ॥১৬০ বছরের। আমার প্রপিতামহের শৈশবেও এ সব গাছ। এমনিই ছিল। বড় ঠান্ডা। শিশির পড়চে। কারো নদীর ধারে অনেকক্ষণ বসে তারপর বাংলোতে ফিরে এলাম। বন্য হস্তীর ভয়ে বেশিক্ষণ জঙ্গলের মধ্যে বসতে সাহস शक का । আজ বোলা ১২টার সময়ে মোটরে রওনা হয়ে মাইল চারেক গিয়ে এক বনের মধ্যে গাড়ী রেখে শশাংদা বর আরোহণ শার করলাম। শশাংদা বার সারান্ডা অরণ্যের সবোচ্চ পাহাড়-উচ্চতা ৩o৩৮ ফটে। প্রায় কালিম্পং-এর উচ্চতা। মোটর ছেড়ে ৫ ॥৬ জন লোক বনপথে পাহাড়ের গা কেটে বনবিভাগের তৈরি রাস্তা বেয়ে চলোচি। একদিকে শৈলিগাত্রে নিবিড় অরণ্য, দটি ঝর্ণা বনের মধ্যে কলধৰনি করে নেমে চলেচে। বনের মধ্যে বন্য কদলী-বক্ষ-ঠিক যেন চন্দ্রনাথ পাহাড়ের মত। একটা স্থানে এসে পাহাড়ের ওপর উঠতে আরম্ভ করলাম। খাড়া উঠেচে, অতি দরারোহ শৈলগাত্র, নিবিড় বনের মধ্যে সোজা হয়ে উঠে চলেচে। একটা বনমোরগ আমাদের পায়ের শব্দ পেয়ে বনের মধ্যে পালালো। বড় বড় মোটা মোটা শাল, ধ, রকম, আসান, লন্দাস, পানজন, আন্দী, বন্য কাঞ্চন, টীহড়, লতা আরও শ” দশো রকমের গাছ ও লতাপাতা। ৬o ॥৭o বছরের পরোনো টীহড়, লতা (bohinia vallai) গাছের কাছে ঠেলে উঠেচে। এক 435 জায়গায় পাহাড়ের ও বনের ফাঁকে দরের ছোট বড় পাহাড় চোখে পড়ে। চাড ডা গাঢ়া নামক পাব্বিত্য ঝর্ণার কলকল জলপতন ধবনি বনে বনে, সত্তরে সস্তরে যেন নেমে চলেচে নীচের দিকে-উপত্যকার নিবিড় অরণ্যে এ গম্ভীর শব্দ একটি উদাত্ত সওগীতের সন্টি করেচে। বড় ক্লান্তি হচ্চে। এত দরারোহ পাহাড়-শেষের দিক যেন, আরও বেশি। পা যদি সামান্য একটি পাথরেও আটকে যায়—তাও যেন তুলে ফেলতে কাৰ্লট হচ্চে। ঘন ঘন হাঁপাচ্চি—মাঝে মাঝে বকের মধ্যে এক রকম যন্ত্রণা হচ্চে। ধর্মপান করবার জন্যে সেই খাড়া পথের এক জায়গায় বসলাম। সামনের দশ্য আরও সপভট করবার জন্যে সঙ্গের বনবিভাগের গার্ড কুড়ােল দিয়ে bohinia vallai-র একটা মোটা লতা কেটে দিলে। Forest Officer ও রেঞ্জ অফিসার শ্ৰী রাসবিহারী গণ্ডকে একটি গলপ শোনালাম। দাজনেই শনে খাব খশি। যেখানে চাড়া ঝর্ণা পড়চে-সেখানে NITT PITI RIIKI JING3 fly fir, RT KIGEN—Take courage in both hands, MIT আমি বললাম—একটা হাত আটকানো—লাঠি ধরে আছি যে ! প্ৰকান্ড আম গাছ বনের মধ্যে এই সন্থানে দেখলাম। আজ গোপালনগরের হাট, এতক্ষণ হাটে চলেচে লোকে । ওপরে উঠে প্রায় দই মাইল দীঘ তৃণক্ষেত্রের ওপর দিয়ে চলে গিয়ে একটা জলাশয়ের ধারে এলাম। সেখানে নরম কাদায় কত রকম পশর পদচিহ্ন। হো ফরেস্ট গাডকে আমরা ডেকে বললাম-কি কি জঙ্গলের জানোয়ারের পায়ের দাগ আছে দেখ। সে দেখে বল্লে-হািজর হাতী, বাইসন, সম্পর্বর, বনো শওর বেশি। আমি বললাম-বাঘের পায়ের দাগ ? —নেই হাজার। বাঘ এখন এখানে জল খেতে আসবে না। একটা গাছের ছায়ায় গাছের ডাল-পালা বিছিয়ে আমরা শহয়ে পড়লাম। চা পান করে বেলা ৪টার সময় রাসবিহারীবাব বল্লেন-চলন, বন্ড হাতীর ভয় বেলা পড়লে। তারপর এখানে কি Հ8