পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গাঙপর সেন্টট থেকে এসে আরাকাশি’ অর্থাৎ কাঠ চেরাইয়ের কুলীর কাজ করচে। সেই বনের মধ্যে ঘন ছায়ায় জন কুড়ি-ত্রিশ মেয়ে-পরিষকে ভাত রোধে খেতে দেখে এমন ভালো লাগলো! ওপরে পাতা-ছাওয়া কুড়েঘরে বসে। ওদের সঙ্গে গলপ করি আগমনের পাশে বসে। ওদের টিলার বাংলো থেকে সামনের পাহাড়ের ও চারিপাশের বনের দশ্য অতি গম্ভীর। এই হেন্দেকুলি ক্যাম্প জেরাইকেলা সেন্টশন থেকে দশ মাইল । বেড়াতে এসে এখানেও একদিন থাকা যায়। হেন্দেকুলি ছাড়িয়ে জঙ্গল আবার নিবিড়তর, সামটা নালার দিকে পথ ঘরে ঘরে নামতে লাগলো হেন্দেকুলি থেকে—ব্রুমেই ঘন জঙ্গল, এখানে দটি-তিনটি রঙীন বন-মোরগকে পথের এপাশ থেকে ওপারে জঙ্গলের মধ্যে উড়ে যেতে দেখলাম—তখন সন্ধ্যা হয়ে আসচে, অন্ধকারে অরণ্যপথ নিবিড় হয়ে গম্ভীর শোভা ধরেচে। ফরেস্টার বলচে, এ পথে বড় বাঘ আর হাতীর ভয়। গাড়োয়ানদের গর প্রায় বাঘে মারে। হাতী তো এখন এই সন্ধ্যায় বার হয়। বাঘও এই সময় পাওয়া যায়। দদিকের কালো অন্ধকারে, ঢাকা বন যেন চেপে ধরেচে। ক্ষদ্র মোটরখানা। ভয় করচে দস্তুরমত। আমরা অবিশ্যি থলকোবাদ পৌছবার আগে একটা Barking deer (কোৎরা) ছাড়া আর কিছই দেখলাম না। চা খেয়ে বাংলোতে আগনের ধারে বসে গলপ করলাম, তারপর আমার বাংলোর কাছেই অন্ধকারে একটা বেড়িয়েও এলাম। কাল সারারাত্রি কেটেচে জাতি সিরাং-এ কোইনা নদীর পাষাণময় গভে। আজ ঘামতে হবে সকাল সকাল। কোৎরা ডাকচে গভীর বনে। ভাঙা চাঁদ উঠেচে বনের মাথায় । পরদিন সকালে উঠলাম। খব ভোর। আদরবত্তীৰ্ণ শৈলচড়ার বনানীশীর্ষে এখনও প্ৰাতঃসংয্যের আলো পড়েনি। যেখানে জল গরম হচ্চে, সেখানে আগন 7°IRIIC (Gli Ada Cambridge-a: "The Retrospect' <sairl oyal (SIC বসে। আজ এখনি থলকোবাদ থেকে চলে যাবো। তিরিলপোসি। কল্যাণীকে ও মন্মথদাকে পত্র দিয়েছি। কল্যাণীর জন্যে মন কেমন করচে। ভাবলাম, ওকে আনলে হোত। এই দশ্যে দেখে কি খশিই হোত। বারাকপরের লোক এখন কি করচে ? আমাদের মোটর বারান্দার সামনে এনে জিনিসপত্র বাঁধা ছাঁদা হচ্ছে। দিপারবেলা। ১২৷াটা হবে, সামনের রৌদ্রকরোক্তজবল পাৰ্ব্বত্য অরণ্যের পটভূমিতে শত্ৰকান্ড শিমল গাছটার দিকে চেয়ে কত কথাই মনে হয়। বারাকপাির, সেই ইছামতী তীরের বনঝোপ থেকে এ সময় বনমরচে ফলের সগন্ধ উঠচে—কত দিন দেখিনি। বিরাট সারেন্ডা অরণ্যানীর মধ্যে বসে প্রকৃতির মনোহর রােপ, আফরিন্ত ঐশবৰ্য্য, এই বনানী, এই শৈলমালা দেখতে দেখতে বহন্দরের সেই ক্ষদ্র পল্লীগ্রামটির সেয়াকুল-ঝোপের কথা কেন বার বার মনে পড়চে। কেন পড়চে কে বলবো ? থলকোবাদ বাংলো থেকে বের হয়ে বাংলোর সামনে পয়োপ্রণালী দেখতে ঢািকলাম জঙ্গলের মধ্যে। এমন জঙ্গল যে ভয় হোল এই দাপরেই বঝি বাঘে ধরে। মোটর ছেড়ে গিয়েছিলাম, আবার চলে এলাম গাড়ীতে। ছোট যে পাহাড়ী নদী বয়ে যাচ্চে থলকোবাদের সামনে, জেলার গেজেটিয়ারে তার উল্লেখ আছে। সারেন্ডার ও সাধারণতঃ সিংডুমের সব পাব্বিত্য নদী ও ঝর্ণা সম্পবন্ধে কর্ণেল ডেলটনের উক্তি প্ৰণিধানযোগ্যঃ "In the reserved forests the wooded glens and valleys, traversed by river and hill streams, have a peculiar charm. Here will be found ebo দিনলিপি-৭/হে অরণ্য কথা কও-৩