পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সত্যি, ঠিক গহোর মাখে লোহা-চোয়ানো রাঙা মাটিতে। —আরও দেখান, শাহী আর হরিণের পায়ের দাগ-বিহৎ । -*ाशौ कि ? মিঃ সিনহা বল্লেন-পকুপাইনভাবলাম বাঘ আর অন্যান্য বন্য-জন্তুর আড়া তো হবেই এমন গহাতে। এরও সামনে তেমনি ঘন জঙ্গল, খাব মোটা একটা জংলি, আমগাছ। নিবিড়, দাভেদ্য জঙ্গল চারিপাশে। द5 द5था भGक उभाC। প্রাগৈতিহাসিক মানব কি এ গহায় বাস করতো ? মেজের মাটি খড়লে বোধহয় তাদের চিহ্ন পাওয়া যায়। কত লক্ষ বছরের মৌন ইতিহাস এই গাঁহার মেজেতে অাঁকা আছে-ওই সব বন্য জন্তু-জানোয়ারের মত। কতকাল আগে, পথিবীর কোন আদিম শৈশবে এ গহা তৈরী হয়েচে আপনা-আপনি—কোন আদিম মানববংশ প্রাগৈতিহাসিক যাগের আদিম অরণ্যানীর মধ্যে এখানে বাস করতো, কত লক্ষ লক্ষ বৎসর দরে মন চলে যায় মহাকালের বীথি-পথ বেয়ে। বিসময়ে মন সন্তব্ধ হয়ে যায়। বেশি ভাবতে পারা যায় না। ঐ বনানী-শীষে রাঙা রোদ যেমন আজ, তেমনি কত লক্ষ কোটি লক্ষ কোটি সয্যাসত, সহযোদয়, লক্ষ কোটি লক্ষ কোটি পাৰ্ণিমা অমাবস্যা দেখেচে এই সপ্রাচীন পাব্বিত্য-গহা—যার তুলনায় বেদ-গাথা রচয়িতা ঋষির উপনিষদের কবিদার্শনিকেরা, বেদব্যাস, বালমীকি, বন্ধ, কপিলাবাসতু, অশোক, কলিঙ্গযন্ধে —কালকার কথা। আচ্ছা, কেউ থাকতে পারে। এখানে রাত্রে একা ? উপনিষদের ঋষিরা কি এমনি নিবিড় বনের গাঁহায় একা থাকতেন ? এখনও কি সাধসন্ন্যাসীরা ঠিক এমনি নিসর্জন অরণ্যে এমনি গহায় একা থাকেন ? এসবের উত্তর কে দেবে ? মাথা ঘরে ওঠে যেন ভাবলে। কত অদভুত অদভুত কথা মনে জাগে। মানষের গতায়াত নেই এ গহয়, তাই এত অদভুত লাগচে, ভয় হচ্চে। এস্থান, যদি লোকালয়ের মধ্যে হোত, রেল স্টেশন থেকে এক মাইল হোত, সাধসন্নিসিরা ধনি জবালিয়ে বসে থাকতেন, দেওঘরের তপোবনের গণহাের মত- -তবে কি এমন অদভুত লাগতো ? মোটেই না। ফরেস্টার বল্লে-চলিয়ে হাজার। বহৎ জানোয়ার রহিতা হ্যায় হিয়া চলিয়ে হিয়াসে--- মিঃ সিনহা বল্লেন -বেলা প্রায় চারটা, চলন, এখানে আর থাকা ঠিক হবে নাআবার সেই কাঁটাওয়ালা ফলের জঙ্গলের মাঠ ও নিবিড় বন পার হয়ে তিরিলপোসি --থলকোবাদ রোডে গাড়ীর কাছে এলাম। আসবার সময় আবার হাতীর গলপ উঠলো। —কে যেন বল্লে—এখানে হাতী তাড়া করলে পালাবার পথ নেই—সত্যিই বটে। একদিকে জলা, অন্যদিকে পাহাড়ী ঢাল, বনে ভরা। পেছনে সেই কাঁটাওয়ালা বীচির জঙ্গল। কি একটা বেটিকা গন্ধ পেলাম এক জায়গায়। ফরেসটার বল্লে-সেও পেয়েচে বটে। যাবার সময় এত ভয় হয়নি, আসবার সময় বোধ হয়। বাঘ আর হাতীর পায়ের দাগ দেখবার দরবনই মনের মধ্যে এই ছায়ানিবিড় অপরাহে বিশেষ সাহস খাঁজে পাচ্ছিলাম না। বেলা সাড়ে পাঁচটায় তিরিলপোসি৷ বাংলোয় পৌছে গেলাম। আজ সকালে চা খেয়ে জঙ্গলের মধ্যে অনেকদর গেলাম পায়ে হোটে। সিংলম Qy