পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাহিল কুই किष्क्रेिना कूछे बCभार्भान ठूछ्रे বোবাস ম্যান্ডা ইলিসাবা কুই বাইবেলের বহা চরিত্রই এই বন জঙ্গলে মাটি কাটচে, সবাই মেয়েছেলে। কুই এদেশে হো ভাষায় কুমারী মেয়ের নামের শেষে বলে। বিষাকালে দামাস গ্রামের লোক জংলী ফলমল খেয়ে বেচে থাকে। এখানে বলে “কান্দা"। নানারকম মিন্ট কন্দও নাকি আছে। তাছাড়া জংলি, আম, বেল ও কাঠডমরের পাকা ফলও বনে মেলে। কাঠডমর (Ficus Cunisia) বাংলাদেশে নেই—এই অঞ্চল ছাড়া অন্যত্র কোথাও দেখিনি। প্ৰেমানন্দ গ্রামের মােন্ডারি বা সন্দার। বল্লেএখানে চালের বড় কম্পট, বোনাই সেটটে /৬ সেরা চাল টাকায়, কিন্তু এখানে আনতে দেয়। না হজাের। পথের মধ্যে বোনাই। আর সারেন্ডার সীমানায় সিপাই বসিয়ে রেখেচে । চলে এলাম। একটা ঝর্ণা গ্রামের মধ্যে দিয়ে বইচে-এর নাম বিটকেল-সোয়া নালা। আসলে এই গ্রামের নামেই এর নাম। সবচ্ছন্দগতি নিত্যপরায়ণা বন্য নদীর নাম আর বাঘের ভয় বনে। এই একমাত্র লোকালয়ের মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়ে আবার নাচতে নাচতে ঢকে পড়লো বোনাই স্টেটের অরণ্যভূমিতে। তার এই নাম! বেলা বারোটা। আমরা ফিরলাম, চমৎকার শান্ত গ্রামখানি। এই ঘন বনের মধ্যে এর জন্ম ও মরণ। বিসরার বাজার থেকে চিনি, আটা, তেল আনে। বিসরা ষোল মাইল দীর এখান থেকে। মহয়ার তেল খায়, ও নাকি ঘির মত, সামায়েল মানকি বল্লে। খ্রীস্টান হয়েচে বটে। কিন্তু অসখি হোলে বনে গিয়ে লকিয়ে বোংগা পাঁজো করে । ফিরে এলাম বনের পথ দিয়ে। স্নান করে খেয়েই তখনি আবার মোটরে বার হই টোয়েব নামে একটি নিবিড় বনে অবস্থিত জলপ্রপাত দেখতে। তিরিলপোসি বাংলো থেকে থলকোবাদের পথে চার মাইল গিয়ে গাড়ী রেখে হোটে চল্লাম বনের মধ্যে। সঙ্গে ফরেস্টার খণ্টিয়া, দজন ফরেস্ট গাড, মিঃ সিনহা। বনে অত্যন্ত আগাছা, বিশেষতঃ সেদিনকার সেই ওকড়া জাতীয় ফল। ক্ৰমশঃ নিবিড় থেকে নিবিড়ােতর বনে ঢকে গেলাম। এমন বনের চেহারা এই সারেন্ডাতেও। আর দেখিনি। কিন্তু অদ্ভুত সৌন্দৰ্য্য সে ঘোর বনের। বিশাল বনস্পতি-শীর্ষে কমপ্রিটাম ডিকেনড্রামের সাদা পাতা গজিয়ে ঠিক। ফলের মত দেখাচ্চে, এ লতা যে অত উপচতে উঠতে পারে তা জানতাম না। একস্থানে সড়িপথের দাধারে নদী কাঁঠান নামক এদেশী গাছের জঙ্গল, বড় বড় আমগাছ, শালগাছ, মোটা মোটা লতা ডালে পালায় জড়িয়ে দাভেদ্য ও দম্প্রবেশ্য করে রেখেচে বনভূমি। ভয় হয় এ বনে ঢাকতে, বিশেষত যে রকম হাতী আব্ব বাঘের ভয় বনে। এক এক স্থানে সড়িপথটকু ছাড়া ডাইনে বাঁয়ে কিছই দেখা যায় না। চলেচি, পথ আর ফরোয় না। ওকড়া জাতীয় শকানো ফল সারা গা এমন কি মাথায় চলে পৰ্যন্ত আটকে যাচ্চে। কোথাও নিবিড় সেগান বন, কোথাও জলাভূমি, কোথাও কাঁটাবন, পথ নেই বল্লেই হয়। এক স্থানে নরম মাটিতে মস্ত বড় বাঘের পায়ের থাবা অাঁকা। হাতীর নাদ আর পায়ের দাগ তো সব্বত্রে। বাইসনের পায়ের দাগও আছে। এক জায়গায় ফরেস্ট গাড, দটি দাঁড়িয়ে বনের দিকে চেয়ে আপনাদের মধ্যে কি বলতে লাগলো। কি ব্যাপার ? বাঘ দেখেচে নাকি, না হাতী ? মিঃ সিনহা। ধমক দিয়ে বল্লেন-আরো ক্যা হয় বোলো না ? ওরা বল্লে-বানর, হাজার। OI