পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনেকদরে। পৰ্যন্ত উনি আর হারজীবনবাব আর একটি ছোকরা সঙ্গে এলেন। সন্ধীরবাব পানিতরের কথাও জানেন, আমার প্রথম শবশরে-বাড়ী। বল্লেন—“পানাতর, বাবা যেমন বলতেন। কতকাল পরে ঐ গ্রামের ঐ উচ্চারণ শািনলাম। এতদরে বসে। বিশ্ববিদেবের জয় হোক। সকালে মনোহরপর থেকে এখানে আসবো, হরজীবন পাঠক ও সন্ধীরবাব এসে খব গলপগজব করলেন। আমি আর কখনো মনোহরপর আসি না আসি, বাংলোর পেছনের পাহাড়টাতে উঠে বসে রইলাম পাবদিকে চেয়ে। খেয়ে বেলা দাপরের পর মোটরে উঠে কোল বোংগার পথে পোংগা আসবো, এক জায়গায় ফরেস্ট গাড, আমাদের অতি দগম ও ভীষণ কাঁটাজগুগলের পথে বাঁশবন দেখাতে নিয়ে গেল পাহাড়ের ওপারে লবড়া নালা ভ্যালিতে। অতি কন্টে সেখানে গিয়ে পৌছে আমি বনের মধ্যে উপতাকার দিকে মািখ করে বসলাম, মিঃ সিনহা, রেন জার সালেমান কারকাটা ও ফরেস্টার- ওরা সব নীচে চলে গেল। সালেমান বল্লে --বহৎ steep নালা, আপ তো উতারিনে নেহি সকঙ্গে—— আমি বসে দরের পাহাড়শ্রেণীর শোভা দেখচি সামনের গাছপালার ফাঁক দিয়ে। এমন সময় ওরা ফিরে এল, আমার জেদ ধরে গেল যে ওরা যা কোরেচে। আমিও তা পারবো। এই জেদ থেকেই সারেন্ডা পৰ্ব্বতারণ্যের মধ্যে একটি সন্দের এমন কি সন্দিরতম সিথানের আবিহুকার করা সম্পভব হোল। মিঃ সিনহা বল্লেন--আসন, আসন-দেখােন কেমন সিনারি। আমি গিয়ে চেয়ে অবাক হয়ে গেলাম। মাত্ৰ চল্লিশ ফন্ট নেমেচি যেখানে বসে ছিলাম। সেখান থেকে। একখানা চওড়া পাথর যেন শানো ঝালচে, তার নীচে আরও কয়েক থাক প্রস্তরের সোপান, মাত্ৰ হাত ছ-সাত তারপরই প্রায় ন'শো ফািট খাড়া নীচ উৎরাই পাথর ফেলে দেখলাম চার-পাঁচ সেকেন্ড। পরে তবে প্রথম পতনের শব্দ পাওয়া যায়, তারপরে গরগাম্ভীর শব্দে গড়াতে গড়াতে যে কোন অতলস্পর্শ গহবরে গিয়ে পড়ে। মাথা নীচ করে গিয়ে দাঁড়াতে ভরসা হয় না. মাথা ঘরে পড়ে যাবো ঐ অত্যন্ত নীচে উপত্যকার মেজেতে, যেখান বন্য বাঁশঝাড়, আরও কত কি গাছের মাথা ক্ষদ্র ক্ষ,দ্র ঝোপের মত দেখা যাচ্চে। আমাদের এই পাহাড়টার উচ্চতা ২,২২৬ ফট, ১৫০ ফন্ট আর উঠতে হয়তো বাকী সবটকেই উঠোঁচ তা ছাড়া। সামনে ৯০০ ফাট খাডা নীচ উৎরাই সরল রেখায় নেমে গিয়েচে । আমাদের সামনে ১৬৫৬ ফন্ট উচ. একটা পাহাড়ের মাথাআমাদের নীচে একটি ডানদিকে ঘেষে। সামনের উপত্যকাভমি নিবিড় সবজি, মেষলোমের মত ব্যক্ষশীষে ভিত্তি। তার ওপারে সত্তরে সত্তরে উঠেচে শৈলশ্রেণীর পেছনে শৈলশ্রেণী, সমদ্রের তরঙগমালার মত। আমাদের এই vantage point—টি একটি খাঁজে অবস্থিত, দদিকে চলে গিয়েচে বনাবত দই শৈলবাহ বাহদার পর্যন্ত। বদিকের বাহিতে অনাবািত পাথর বেরিয়ে আছে বহন সস্থানে, একটা বটগাছ হয়েচে, আরও অনেক বড় বড় গাছ থাকে থাকে নেমে হঠাৎ যেন শানো ঝািলচে। ঐ একটা শিববােক্ষ আমাদের বাক্সের মত দেখাচ্ছে, কোল বোংগার পাহাডটা সমতলভীমর সঙ্গে মিলে সমান হয়ে গিয়েচে এতদ বা থেকে। বনভমি নিনাদিত হচ্ছে ময় রের কেকারবে, নিম্পেনার উপত্যকার জঙ্গলে। এই নিজজন গহনারণ্যে ময় বের কেকারব ওপরে দিবপ্রহরের নীলাকাশ, বহর বহ নিম্পেন্ন সংকীর্ণ উপতাকায় পাৰস্বত্য ঝর্ণা লবড়া নালার কালো খাত—আমাদের 8G