পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হয়ে বালেশবর ও কটক। আমরা বনের দিকে অগ্রসর হচ্চি—ঐ শৈলমালার মধ্যে কোন এক অনাবত ছায়াভিরা উপত্যকায় দািবলবেড়া গ্রাম। সেখান থেকে ভ্যালেডিয়াম Ore আসাচে । প্রথমে পড়লো নড়সা নদী। পথের দাধারে কালো পাথরের পাহাড়, যেন পাথরে কয়লার সতপ, এসব পাহাড় প্রায়ই অনব্বর, বাক্ষলতাহীন—ঙ্কাচিৎ কোন পাহাড়ে একআধটা শিববক্ষে দণ্ডডায়মান। হাঁড়িয়ালি বলে একটা গ্রামে এক বাড়ী থেকে শাঁকের আওয়াজ শনে এক ছোকরাকে বল্লাম--এদের বাড়ীতে শাঁকি বাজচে কেন ? --সত্যনারাণ পিজো হচ্ছে। —কি জাত। এরা ? --भ२ादा०ा । -cन कि ? -0ख्Iाउस। }TTCگ ۔ -- —ওই। এদেশে হাঁ বলতে জানে না, বলে—“ওই’ এ গ্রামের নিচেই হাঁড়িয়ালি বলে ক্ষদ্র পাব্বিত্য নদী। হেটে পার হয়ে গেলাম। রাস্তা হাঁটতে কি আনন্দই হচ্চে সকাল বেলাটা। ধ- ধ করাচে মক্ত উচ্চাবচ ভূমিভাগ, যেন Space-এর সমদ্র, তার মাঝে মাঝে ছোট ছোট গ্রাম, ছোট বড় কালো পাথরের পাহাড়, পলাশ, শিববক্ষে, মহল ও আসান। শালগাছ বেশী চোখে পড়লো না। এক পিথানে পথের ধারে বড় গাছের তলায় একটা চওড়া পাথরে বাংলা অক্ষরে লেখা আছে— মাতু বাসেরা সন্দার। সাং চাকড়ি, সন ১৯৪৯ । অর্থাৎ উন্ত গ্রামের বাসেয়া সন্দারকে অমর করবার চেন্টা। এই গ্রাম পার হয়ে একটা পাব্বিত্য নদী-নদীর নাম লািপং, কিছদরে এই নামের একটা গ্রাম। পথের দধারে আমের গাছ- এমন অদভুত ধরনের বাউল ধরেচে, আর তার কি ভরপর সবাস ! একটা চারা আমগাছ দেখে মনে হোল গাছটাতে ফল ধরেচে। নদীটার ধারে এক বিশাল সপ্রাচীন অজ্ঞজনে গাছের শাখা-প্ৰশাখার তলে আমম কুলের সৌরভের মধ্যে কিছফক্ষণ বসে রইলাম। বেলা হয়েচে, পথ হোটে খিদেও পেয়েচে। কয়রাসাই গ্রামের পাশে একটা কালো পাথরের পাহাড়ের নিচে একটা কুলগাছ, অনেক কুল পেকেচে দেখে সেখানে কুল কুড়তে গেলাম। পথে কতকগলি ছেলে স্কুলে যাচ্চে, কয়রাসাই গ্রামে একটা পাঠশালা দেখে এসেচি বটে পথের ধারে। আমরা ছেলেদের নাম জিজ্ঞেস করালিম। একজন বল্লে—তার নাম দিবাকর তাঁতি। একজনের নাম ধনধাের বাস্কে। --কি জাত। -द6न्द5 खाठ । এই সময়ে একটা একটি বলিষ্ট পড়তে লাগলো। আমাদের সামনে ডানদিকে জোজডি শিখরদেশ (২০oo ফট) দেখা যাচ্চে, দারে নারদা (১৭০৬ ফিট)। শিখর। “সামনের শৈলমালার ওপারেই ময়রভঞ্জ, অগণ্য বন্যহস্তী ঐ সব পাহাড়ে। দিন থাকতে থাকতে দািবলবেড়া পৌছলে বাঁচি। কোয়ালি গ্রামে পৌছে গেলাম তখন বেলা একটা। এক কুম্ভকারের বাড়ীতে আশ্রয় নিলাম বন্টির সময়। তাদের খোলার চালা, মাটির দেওয়াল। মেয়েদের হাতে রপোর অলংকার। কপালে সিন্দর। কথা বাংলাই—তবে বন্ড বাঁকা বাঁকা এবং একটি উড়িয়া-ঘেষা। ওরা মাড়ি খাওয়ালে তেলনন দিয়ে মেখে এনে । R O