পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপনিষদ ও গীতার ব্যাখ্যা হোল। অনেক লোক শািনতে এসেছিল, সতীশ ঘোষ, মতি দাঁর ছেলে যািগল, ললিত, লালমোহন, ফণিকাকা, গজন, ফকিরীচাঁদ ইত্যাদি। শান্তিপরের এক অদ্বৈত বংশের গোস্বামী মশায়ও উপস্থিত ছিলেন। লালমোহনের বাড়ীর পিছনের যে পথটা দিয়ে আমি সকালে গেলাম। সে পথে জীবনে কখনো যাইনি-নতুন යූ! বারাকপরেও এমন সব জায়গা। তাহলে আছে যা আমি জীবনেও কখনো রাত এগারোটার সময় ফিরে এলাম। অনেক রাত্রে ভীষণ মেঘ গৰ্ভজন, তার সঙ্গে মনুষলধারে বন্টি। কল্যাণী চমকে উঠেচে ঘামের ঘোরে। Z এ খাতায় অনেকদিন পরে আবার ‘বনগ্রাম' কথাটি লিখচি। পাঁচ বৎসর পরে আবার বনগ্রামে বাসা করেচি-জাহ্নবীর বাসার কাছেই। আবার পরোনো দিনের মত সকালে উঠে খয়রামারি বেড়াতে যাই, সেই গাছপালার ফাঁকে বসে দাঁতন করি। পরোনো দিনের পনরাবত্তি বড় ভাল লাগে। কোথায় ঘাটশিলার বনমধ্যস্থ হদে সকালে সনান করতে যাওয়া এই সময়ে, কোথায় নাকটিটাঁড়ের বন, ১লা বৈশাখ বরকেলা পাহাড়শ্রেণীর সামনে ভবানী সিংয়ের বাড়ীর কক্ষপাউন্ডে বসে চা খাওয়া, বোরো নদীতে একসঙ্গে স্নান-হরদয়াল, আমি, ভবানী, সবোধ ঘোষ, যোগীন্দ্র সিনহা—আর বছরই তো। সে কি মজা! চাইবাসার সে ঘরদের এখনও মনে পড়চে। কোলহান পাক, মােঠা পাহাড়ের বাংলো-ইত্যাদি। কোথায় সেই চরাই পাহাড়ের শিখরদেশ। এসব থেকে কোথায় আবার সেই বনগাঁর বাসা। ঘড়ি বাজে ঢং ঢেং করে, যতীন দা’র বাসায় মন্মথন্দা’র বাসায় আডা দিচ্চি-ইউনিভাসিটির খাতা দেখে উঠে বাজার করচি, ওপারের হাট থেকে মুনি আনােচ, কয়লারর দোকানে কয়লা কিনচি। এ সব জিনিস বহদিন বনগাঁয়ে কাল কাপ্তেন চৌধরিীর মোটরে বিকেলে বিশবনাথ ও যতীন দা’কে নিয়ে বেনাপোল হরিদাস ঠাকুরের মঠে বেড়াতে গেলাম। আজ পাঁচ বছর আগে একবার এখানে এসেছিলাম। বদ্ধদেববাবার সঙ্গে। আজ শক্লিা চতুদর্শী, মন্দিরের সামনে চাতালে বসে আমরা হরিদাসের কাহিনী পাঠ শানচি, প্রদীপের আলোয় বিশবনাথ পড়চে, ওদিকে চাঁদ উঠেচে, মন্দিরের চারিপাশে ঘন বনে শান্ত সন্তব্ধতা নেমে এসেচে-বড় ভাল লাগছিল। হীরা নটির মাত্তির সামনেও আরতির পঞ্চপ্রদীপ ঘোরানো দেখে আমি বিসমিত ও অভিভূত হোলাম। কার কৃপায় পতিতা আজ দেবী হয়েচে ? সেই বিশবিস্ত্ৰজটা বিশ্বব্যপালক ভগবানের ছাড়া আবার কার কুপায় ? এক বাড়ী আছে, সে প্ৰণাম করে বলে--জীবই শিব। এখানে বাড়ী আছে আজ ষোল বছর। ১৩১০ সালে এই মঠ ও মন্দির তৈরি হয়। ভোলানাথ গোস্বামী বলে এক সাধক ভক্ত, বাড়ী তাঁর মামদেকাটি, সর্বঘ্নে আদেশ পান। এখানে হরিদাসের সাধনকুঞ্জের পনরদ্ধারের। এখানে এসে সােথানীয় নায়েব মহাশয়ের সাহায্যে ঘন জঙগলের মধ্যে এই তুলসী জঙ্গল ও আটখানা ইট অবিভকার করেন। তখন এখানে বাঘের আড়া ছিল। বাড়ীটি বড় অদভুত, সে-ই এসব গলপ করলে। বড় ভক্তিমতী আর বড় বিনয়ী-বৈষ্ণব ধৰ্ম্ম এদের অস্থিমজ্ঞজায় প্রবেশ করেচে, তৃণাদপি সনীচেন” এই কথার সত্য ওরা জীবনে অাঁকড়ে G(5. 19GNING KGG আজ বিকেলে পাঁচটার সময় কাপ্তেন চৌধরিীর গাড়ীতে গেলাম বারাকপারে। মিতে, মন্মথ দা, যতীন দা, আমার সঙ্গে। কাপ্তেন চৌধরিী পথের পাঁচালীর দেশ দেখতে AO