পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বন, আর একটা গাছ-তার নাম মহীগাছ। সেই বনযাথিকার নাম নাকি অধি। কলি, এখানে ও ফল খায়। অবাধ দন্টি কত দর। পৰ্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে, থৈ থৈ করচে, Space-এর সমদ্রে দরের ভুবনেশবরের মন্দিরগলির চড়া যেন ডাবে আছে। মাটির রং রাঙা, তার পাষাণ বাঁধানো ওপরটা। গরর গাড়ীর চাকা গিয়ে গিয়ে পাথরে কেটে গিয়ে চাকায় লিকের সন্টি হয়েচে । ভুবনেশবর পৌছতেই ছোট বিশবনাথ পান্ডার খপরে পড়ে গেলাম! সে বিন্দ সরোবরের ধার থেকে আমাদের নিয়ে এল, তুললে এক ধন্মশালায়। গৌরীকুগেড আমাদের স্নান করাতে নিয়ে গোল—সনানান্তে দািধকুণ্ডের জল পান করে যেমন পিছৰ ফিরেছি, অমনি পান্ডার দল ফেউয়ের মত পিছ লাগলো। কোনক্রমে তাদের হাত থেকে নিম্প্রকৃতি পেয়ে ধৰ্ম্মশালায় মধ্যাহ্ন-ভোজন করা গেল। তারপর মন্দির দেখতে বার হই। বহ, অতীত দিনের আনন্দচ্ছন্দ যেন পাথর হয়ে জমে আছে সে বিশালাকায় পাষাণ দেউলের বকে। একটি নত্তকী মাত্তির কি ত্ৰিভঙ্গ দেহ, কি মাদ্রার সষমা ! পাষাণ খোদাই লিরিক কবিতা। নিবন্ধুভমিকার জঙ্গলে অতীতের ইতিহাস চাপা পড়ে যায় যায়। কম্পপা সিংহ, উদো গজ সিংয়ের কথা জানি নে। সেন্টশনে ফিরবার পথে আবার ভিখিরির দল গরর গাড়ীর পিছৰ পিছ ফারণ সরে প্রার্থনাবাক্য উচ্চারণ করতে করতে ছািটলো প্রায় এক মাইল রাস্ত। ট্রেন আসতে দেরি ছিল। হা হন সমদ্রের হাওয়া বইচে, আমরা শহয়ে রইলাম প্লাটফর্মে । চারটের সময় গাড়ী এল। ঐ দরে উদয়গিরি, ঐ খািড়গিরির ওপর জৈন মন্দির। গাড়ী চলেছে—গাড়োয়ান ওবেলা দেখিয়েছিল খরিদা রোডের দটি রাঙা কাঁকরোয় পাহাড়, তার ওপর দটি গাছ – সে পাহাড় দটাে কাছে এল। খরিদা রোড স্টেশনে আর বছরে “ডিটেকটিভ' নাটকের অভিনয়ে যে বেশ নাম করেছিল। সেই ইন্দবাবা এসে আলাপ করলেন। আবার সেই মালতীপান্তপরের নারিকেলকুঞ্জ। যেন পাপিয়া নিউ হোৱাইডিস-এর বেলাভূমির ছবি। পরী সেন্টশন থেকে ফিরবার পথেই বনগার হরিবাব ও তার ছেলে বামনের সঙেগ দেখা হোল। আমরা ধৰ্ম্মশালায় জিনিসপত্র রেখে জগন্নাথের মন্দিরে গেলাম দশন করতে। ঠাকুরের সিঙার বেশ দেখলাম। মন্দিরে বাইরের চত্বরে খোলা হাওয়ায় সমথবাবার সঙ্গে অনেকক্ষণ গল্প করলাম। সা. বছর আর এ বছর। সেই মন্দিরের নানাস্থানে ধৰ্ম্মমগ্রন্থ পাঠকের সম্পমাখে কেী তােহলী ও ধৰ্ম্মমপিপাস শ্রোতার ভিড়। এ দোকান ও দোকান ঘরে সমাথবাব, খাবার জিনিস কিনতে লাগলো। রাত ন’টার পরে ফিরি। একসঙ্গে খেতে বসি---গৌরীশঙ্কর, সামথ ও মহাদেববাব। ওরা রাত্রেই চলে গেল। নীল সমদ্র! আবার সেই উত্তালতরঙ্গময় নীল সমদ্রের গলজািন! সকালে উঠে প্রথমেই গেলাম হরিদার বাড়ী। বামন ধােন্স, তিনি বেরিয়ে গেলেন। আমি আর বছরের সেই বালিয়াড়ি ও শাল গাছ-দটির পাশ দিয়ে কতবার মাঠে গেলাম, সেই শ্ৰীকৃষ্ণ মাত্তি আবার দর্শন করলাম। পরিষোত্তম মােঠ সেই স্বামীজীর ধম্পেমাপদেশ শািনলাম। ফিরবার পথে ভূপেন সন্ন্যালের বাড়ী গেলাম। তাঁর সত্ৰী জেলখাবার খাইয়ে তবে ছাড়লেন। বড় রোদ চড়েচে । বালিয়াড়ির পথে আবার যাত্রা। সেই পলং গাছ পথে পড়লো। ধৰ্ম্মশালায় ফিরে আর বছরের মত খিদেতে ছটফট করি। একটা বাজে, তিনটে বাজে, কোথায় মহাপ্রসাদ ? এই আসে, এই আসে—কিছুই না। বীরেন রায় মশায় এলেন—আমরা আহারান্তে বসে গলপ করি। জানােলা দিয়ে দেখি বাঁদিকের 69