পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰুন্ধর মতো মিশেছিলেন, কত আগ্রহ করে তাঁর বৌদ্ধগ্রন্থের লাইব্রেরি দেখিয়েছিলেন, L DL DB DLYJ DBDLYS মহারাজার নতুন প্রাসাদের বড়। ফটকে বর্ণপদকধারী গােখা বা কুকি পাহারাওয়ালা দাঁড়িয়ে। অনািমতি ভিন্ন কাউকে প্রাসাদ দেখতে দেওয়ার নিয়ম নেই।

একদিন আমি নিঃসঙ্কোচে ছড়ি ঘরিয়ে সহজভাবে ফটকের মধ্যে ঢকে গেলাম যেন আমি নতুন লোক নই, মহারাজের প্রাসাদে যাতায়াত করা আমার নিত্যকৰ্ম্ম । কুকি পাহারাওয়ালা চেয়ে চেয়ে দেখলে কিন্তু কিছ বলতে সাহস করলে না, কেন যে সে কিছ বললে না, তা আমি আজও জানিনে।

একাই প্রাসাদের মধ্যে ঢকে পড়লাম-বিভিন্ন ঘর দেখে বেড়ালম, কেউ বললে না। একটা বড় হলঘরে অনেকগলো বড় বড় বিলিতি ছবি। হল ঘরটিতে সিন্দর সন্দর কোচ কেদারা পাতা, সাদীঘ ভিনিসিয়ান আয়না দেওয়ালে, সিলোেকর কাজ করা পরদা, ভেলভেটে মোড়া গাঁদি, চমৎকার কাপেট পাতা মেজের ওপর। একটি ছোট্ট সন্দরী খাকি ঘরটিতে বসে প্রাইভেট টিউটারের কাছে লেখাপড়া করচে। খাকিটি এত চমৎকার দেখতে! আমি প্রাইভেট টিউটারের সঙ্গে আলাপ করলাম। তাঁর বাড়ি কুমিল্লা জেলায়, নামটা আমার মনে নেই, আমার সঙ্গে অতি অলপক্ষণের মধ্যেই তাঁর খব ভাব হয়ে গেল। তিনি বললেন-আপনাকে দরবার-ঘর দেখাই চলন। ওখানে সকলকে যেতে BB BB DSDBB BB BBSDDD D DDDB DDD S দরবার-ঘরে ঢকে তার ঐশ্বব্যয্য ও জাঁকজমক দেখে মগধ হয়ে গেলাম। এককোণে উচ, বেদীর ওপর হাতীর দাঁতের সিংহাসন, সোনালী রোকেডের কাজকরা লাল মখমলের গদি মোড়া। পাছে ধলো-বালি জমে নষ্ট হয় বলে সিংহাসনটি তুলো দিয়ে ঢাকা। দটি প্রকাশড হাতীর দাঁত সিংহাসনের দদিকে দেওয়ালের গায়ে দাঁড় করানো। মাস্টার মশায় বললেন, হাতীর দাঁত-জোড়া সবাধীন ত্রিপরা রাজ্যের পাৰস্বত্য অঞ্চল থেকে কোনো কুকি সামন্ত সন্দার রাজদরবারে নজর দিয়েছিল। -- কুকি সামন্তেরা কোথায় থাকে ? --পাব্বিত্য অঞ্চলে ওদের জায়গীর, মহারাজ ওদের ফিউডাল চিফ, দরবারের সময়ে কুকি সামন্ত সন্দাররা তাদের জাতীয় পোশাক পরে যখন আসে, সে একটা দেখবার জিনিস! ওদের সঙ্গে তীর ধনক নিয়ে কত অনাচর আসে। সে সময় "থাকেন তো দেখতে পাবেন । --কতজন সামন্ত আছে ? —ঠিক বলতে পারবো না, তবে পনেরো-কুড়ি জনের কম নয়। ওদের অঞ্চলে ওরা নিজেদের ধরনে শাসন করে, ওদের নিজেদের আইন ও রীতি-নীতি সেখানে চলে। বিকেলে আমি "কুঞ্জবন প্যালেসের দিকে বেড়াতে গেলাম। পথে এক জায়গায় একটা ছোট চিড়িয়াখানা আছে মহারাজের। তার মধ্যে <Ciret Cat জাতীয় একটি বন্যজন্তু আমার বড় ভালো লেগেছিল। সেটা দেখতে কতকটা বিড়ালের মত—কিন্তু বিড়ালের চেয়ে অনেক বড়। যতবার গায়ে লাঠি দিয়ে খোঁচা দেওয়া যায়, ততবার সেটা দাঁত মখ খিচিয়ে ফ্যাচ’ করে তেড়ে আসে, খাঁচার লোহার ডান্ডার গায়ে মারে এক থাবা। এ যেন তার বাঁধা নিয়ম --যতবার খোঁচা দেওয়া যাবে, ততবার সেটা ঠিক ওই একই রকম ভাবে ফ্যাঁচ করে তেড়ে আসবেই। , , তার ওই ব্যাপারটা দেখা শেষকালে আমার এমন ভালো লেগে গেল যে অতিথি GO