পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সব কিছর পেছনে তোমার প্রকাশ, তোমার মহান অভু্যদয়—এ সত্যকে যেন না ভুলি। সব রকম দানকে যেন তোমার হাতের অমত পরিবেশন বলে মেনে নিতে পারি। আজ সকালে উঠলাম। মনে খাব আনন্দ। হয়তো বা শহরে রোদ ফািটবে খােব পটপটি তলার সায়েরে গেলাম নদীর ধারে, পািব্বদিকে সামান্য কিছ মেঘ, আকাশ মোটামটি বেশ পরিভ্রকার। ওপাড়ার ঘাটে মাখ ধয়ে ওপারের শোভা দেখি একমনে। সেই সাঁইবাবলা গাছ থেকে মটরলতা দলচে, সেই সাদা ফলে ভরা লতায় কিছ, কিছ: ফলে এখনও দেখা যাচ্চে। একটা নৌকো এসে লেগেচে-ছইওয়ালা নৌকো। বল্লাম—কোথাকার নৌকো গো ? - -আজ্ঞে বাব, বাজিতপরের। -সে কোথায় ? --মাজদের সন্নিকটে। -दिक दिानÇत ? —কাপড় কিনতে এসোঁচি গোপালনগরের বাজারে। —কবে সেখােন গিয়ে পৌছোবে ? —আজি বোলা বারোটায় ছাড়লে কাল সন্দের সময় নৌকো আমাদের ঘাটে লাগবে । বাড়ী আসতেই বলিষ্ট নামলো। সে কি ঝমােঝম বলিট! দটি ঘণ্টা ধরে একঘেয়ে অবিরাম ভান্না বান্টি! ‘ভন্না’ মানে অবিরাম মনুষলধারে বান্টি। হরিবোলার ছেলে নীল এল একটা পাকা তাল নিয়ে। বেশ সন্দের তালটা। হাব বসে উলিমমািখরা পড়তে লাগলো। নীল পড়তে লাগলো ‘‘পথের পাঁচালী”। আজ ওবেলা কলকাতায় যে তুম ১১টার ট্রেনে। কিন্তু যে বান্টি। তা তাছা গািরদাস ঘোষের ছেলের বিয়ের বৌভাতে নিমন্ত্রণ আছে দােপারে। সে বিশেষ করে थ6:5. *ा काळ ठळद व्षा । কল্যাণী চিগড়ে দিই। আমসত্ব দিয়ে কলা দিয়ে ফলার মেখে নিয়ে এল। এর স্না আসবাদ, কলকাতায় এ রকম পাওয়া যাবে না। ঘরের পাতা দইও নেই সেখানে। টাটকা চিাঁড়েও পাওয়া যায় না। সেখানে। এখানে গোলার ধানের চিড়ে, যত ইচ্ছে খাও । কাল বিকেলে চারটার সময় উড়ে-আসা নীল মেঘের কোলে কোলে সাদা মেঘখন্ডের দশা আর তার নিচে মেঘের ছায়ায় কালো গোপালনগরের বাঁওড়ের দশ্য আমায় একেবারে মগধ করেছিল। তারপর কাল রাত্রি থেকে নেমেছে ভীষণ বাল্টি। সারারাত ঘামের মাঝে ফাঁকে ফাঁকে শানেচি ঝম ঝম ব্যটি পডচে. পড়চে। আজ সকালে ওপাড়ার ঘাটে বেড়িয়ে এলাম--মন রায়ের ক্ষেতের মধ্যে দিয়ে। সন্বত্র জল আর জল —খানা, ডোবা, বিল, বাঁওড় জলে থৈ থৈ করচে। ইছামতী কলে কলে ভরা, সেই লতাটাতে সাদা সাদা ফল ফটেচে—ভরপর বর্ষার দশ্য! কতকাল দেখিনি এসব, এই বর্ষণমােখর মেঘান্ধকার প্রভাতে ওপারের জলে-ভেজা নলখাগড়া বন, বন্যেবড়োর বন, কতকাল দেখিনি বিষা-প্ৰভাতে ভাদ মাসের ইছামতীর কালে কলে ভরা অপরাপ রাপ! তার বদলে দেখে এসেচি মিন্সজাপাের সন্ট্রীটের বাড়ীর তেতলা থেকে নিচের রাস্তার একহাঁট জলের মধ্যে দিয়ে পাউরটিওয়ালা ভোরে অদভুত সাের করতে করতে চলেছে। “এক এক পয়সার রাটি লেও, দা দ’ পয়সার রাটি লেও—বোম্বাইয়ের রীটি লেও, বোম্বাইয়ের রীটি!” জল ছিটিয়ে বাস চলেচে একহাট জলের মধ্যে, যেন সন্টীমার O