পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আছে, তাও থাকতো না, যদি গভর্ণমেণ্ট থেকে বনকে কাননের বেড়া দিয়ে ঘেরা না। হোত। পরীক্ষা বোরা দেখা গিয়েছে আইনের গন্ডী দিয়ে বনকে রক্ষা না করলে ছ’বছরের মধ্যে (গড়পড়তা হিসাবে অবশ্যি) একটা দশ বগমাইল ব্যাপী বনভূমি কাবার --গে স্নায় মানষের কুঠারের সামনে। কব সিং ভূমের মধ্যে কয়েকটি বড় উপনিবেশ গড়ে উঠেচে-ঘাটশিলা, গালডি, চাকুলিয়া ও টাটা। শেষেরটির নাম জগৎ-বিখ্যাত। কারখানার জনোই এখানে অন্ন“সংস্থানের উপনিবেশ। পািব্ব সিং ভুমে প্রকৃতির পাজারী-ভক্তেরা বন দেখতে পাবে না বিশেষ, যা দেখতে পাবে তা এমন কিছ নয়। কাচিৎ দী-একটি স্থান ছাড়া। এমন একটি স্থান হোল ঘাটশিলার সাত মাইল উত্তরে ধারাগিরি নামক একটি ক্ষদ্র জলপ্রপাত ও আশপাশের পাহাড় বনানী। আর একটি স্থান সবণ রেখার ওপারের তামাপাহাড় ও সানদেশ। এই সব বনেই অলপ বিস্তর বন্যহস্তী, নেকেড়েবাঘ, ভালক, ময়র ইত্যাদি দেখা যাবে। তবে এদের সংখ্যা এত কম যে পাঁচ বছর বনে বনে বেড়িয়েও আমি এ পয্যন্ত একটা জ্যান্ত জানোয়ারকে আমার দন্টিপথের পথিক করাতে সমর্থ হইনি।--দটি একটি र्भशाळा दा दकाठंबफुान छाज्रा । তা সত্ত্বেও আমি জানি জানোয়ার এখানে আছে। আমার দ-একটি শিকারী বন্ধ এ বিষয়ে দঃখময় অভিজ্ঞতা অন্তর্জন করেছেন। বেশ" গালডির লনা নাসারির মোহিনী বিশ্ববাস মহাশয়। ইনি ভালক শীকার করতে গিয়ে রীতিমত জখম হয়েছিলেন ভালকের হাতে। বেচে গিয়েছিলেন কোনরকমে কিন্তু একখানা হাত অকম্পমাণ্য হয়েছে চিরকালের জন্য। এখন বলবো পশ্চিম সিং ভুমের কথা। বন যা আছে, এখনো পশ্চিম সিং ভুমেই আছে। এ অঞ্চলের বড় বন দটি। সারেন্ডা ও কোলহান। দটিই রিজাভা ফরেস্ট। সারেন্ডা অরণ্যানী বহত্তর, প্রায় ৪oo শত বগ মাইল। ভারতবর্ষের মধ্যে অন্যতম বাহৎ বনানী হচ্ছে এই সারেন্ডা। আমি তিন বৎসর আগে একবার এই দটি দেখবার সৌভাগ্যলাভ করেছিলাম বনবিভাগের বড় কম্পমচারী জে. এন. সিনহার সমভিব্যাহার তাঁর মোটরে। স অপব্ব অভিজ্ঞতার কথা এমন বিচিত্র সৌন্দয্যের রেখাপাত করেছে আমার <া নে যে তিন বৎসরেও তা এতটকু ফলান হয়নি। বাংলা দেশে ফিরে গিয়ে কতবার সাৰ তাম সারেন্ডা বনের নানা বিচিত্র সৌন্দৰ্য্যভূমির কথা, নানা জলপ্রপাতের কথা, নানা পাথরের বাঁধানো বন্য নদী ও ঝর্ণার কথা, নানা বনপল্পের সরভিবাহী দক্ষিণা বায়ার কথা, শিলাতলে বিছিয়ে থাকা বন্যাশউলির কথা, গভীর রাত্রে বন্য বিভাগের বাংলোঘরে শহয়ে আশপাশের বনে কোথাও বন্যহস্তীর বংহিতধবনি শনিবার কথা। তাই ভাবলাম ছেলেটিকে নিয়ে এই সংযোগে আর একবার সারে"ডা অরণ্য দেখতে বেরবো। কিন্তু এর মধ্যে একটা কথা আছে। পশ্চিম সিং ভুমের এই অরণ্য-অঞ্চল মোটরযোগে ভিন্ন দেখা দেখা প্রায় অসম্পভব। চার শত বগমাইল ব্যাপী এই বনভূমির কোথায় কি আছে তা সাধারণের জানবার কথাও নয়। সতরাং বন-বিভাগের কম্পমচারীদের সাহায্যও নিতান্ত প্রয়োজনীয়। ট্রেনে উঠে এ বন দেখবার সহযোগ প্রায় নেই, কেবল একটি উপায় ছাড়া। সেই উপায়টি অবলম্বন করা গেল। মনোহরপরের স্টেশন থেকে একটা লাইট রেলওয়ে চলে গিয়েছে চোদ্দ মাইল fò