পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গিয়েচোন। 一卒邻可可死可可? -लैक नई। cद्धि झूद। আমি তাদের একজনকে সঙ্গে নিয়ে চিড়িয়া লাইট রেলের সাইডিংএ যাবো ভাবচি এমন সময়ে রাসবিহারীবাবর বাসা থেকে একজন চাকর এসে বল্লে-আপনাকে মাইজি নিয়ে যেতে বলেচেন বাসাতে —কোন মাইজি ? --রাসবিহারীবাবার স্ত্রী। বাসাতে গিয়ে ভদ্রমহিলার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম। তিনিও আমাকে জানতেন । চা ও জলখাবারের ব্যবস্থা করলেন। আমি এখনি চিড়িয়া রেলে যেতে উদ্যত হয়েছি শনে বল্লেন-এখন কেন যাবেন ? সে ট্রেন ছাড়বার সময় হয়েছে। এখান থেকে সাইডিং এক মাইল দারে। গিয়ে গাড়ী পাবেন না। তার চেয়ে ধীরেন্সস্থে সন্নান করে বিশ্রাম করন। কথা শািনলাম না। আমার বন-ভ্রমণের তৃষ্ণ তখন অত্যন্ত বলবতী। মাইল খানেক ছটতে ছটিতে গিয়ে আমরাও যেই সাইডিংএ পৌঁচেছি ট্রেনও ছেড়ে দিল। বাধ্য হয়ে ফিরলাম। এসে দেখি রাসবিহারীবাব কাজ থেকে ফিরেছেন। আমাকে দেখে খাব খশি। দজনে গলপ করতে করতে স্নান করে এলাম নদীতে। ওঁদের অতিথিপরায়ণতার কথা অনেক দিন মনে থাকবে। বিকেলে তিনজনে বেরলাম বেড়াতে। রেলপথের ওপারে সন্ধীরবাবার বাসা। এসে ওঁর সঙ্গে খাব আলাপ হয়েছিল। রাসবিহারীবাবকে নিয়ে সন্ধীরবাবার বাসায় গেলাম। তিনিও আমায় দেখে খব খশি। বিদেশে বাঙালীদের মধ্যে খাব হৃদ্যতা। আমাদের সন্ধ্যাবেলা চা খেতে বল্লেন, রাত্রেও তাঁর ওখানে না খেলে তিনি খাব দঃখিত হবেন জানিয়ে দিলেন। সন্ধীরবাবার বাসা থেকে আমরা গেলাম নসিংহ বাবাজীর আশ্রম দেখতে। এই পন্থানটি অতি মনোরম। কোয়েল নদীর পাষাণময় তটের ওপরে একটি শ্যাম কুঞ্জবিতান। কত কি ফল-ফলের গাছ। এখানে যত্ন করে তৈরি করা হয়েছে, বিশেষ করে ফলের গাছ। বকুল, নাগকেশর, চাঁপা থেকে আরম্ভ করে ক্ষদ্র সন্ধ্যামণি পৰ্যন্ত সব রকমের পাপ এখানে দেখা যাবে। ফলের বাগান বলে মনে হয় না, মনে হয় ছায়ানিবিড় এক বনানী, মধ্যে মধ্যে ঘন বনের বািক চিরে পাথরের নড়ি বিছানো সর, পায়ে চলার পথ পরস্পরকে কাটাকাটি করে সবিন্যস্ত ভাবে সোজা এদিকে ওদিকে চলে গিয়েছে। আশ্রমের ফটক ছাড়িয়ে প্রথমেই একটা পাথর-বাঁধানো চত্বরের চারিপাশে। কতকগলো ছোট বড় পাকাবাড়ী। সাধসন্ন্যাসীদের থাকবার জন্য বড় বড় ঘর ও বারান্দা। এই ঘর-বাড়ীর পেছনে আর কোন মানষের বাসের ঘর নেই, ঘন বননিকুঞ্জের মাঝে মাঝে লতাপাতা ঢাকা ছোট ছোট দেবমন্দির, তাঁর কোনোটায় রামসীতা, কোনোটাতে শ্ৰীকৃষ্ণ, কোনোটতে শিবলিঙ্গ। অপেক্ষাকৃত বড় মন্দিরটি নিসিংহদেবের। বনের মাঝে মাঝে পািপবিতানের আড়ালে পাথরের আসন। বোধ হয়। সাধদের ধ্যানধারণার জন্যে, কিংবা যে কেউ বসে বিশ্রাম বা চিন্তা করতে পারে। সাধার খবা ভিড় আছে বলে মনে হোল না, বরং মনে হয়েছিল সমস্ত আশ্রমটিতে লোক খাবই কম। এত নিজজন যে বাগানের মধ্যে ঢাকলে ভয় করে, পথ হারিয়ে গেলে কেউ দেখিয়ে দেবার লোক নেই। সমস্ত আবহাওয়াটি অতি শান্ত ও পবিত্র। একটি সাধ, ধনি জৰালিয়ে বসে। আছেন এক জায়গায়। ܓܠ