পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুলের ফেরৎ। আংকুয়া বাংলো থেকে যেন উঠতে ইচ্ছে করছিল না। এমন চমৎকার কানন-ভূমিতে এমন বাংলোতে বাস করা একটি বিশেষ সৌভাগ্য। তবে অরণ্যকে ভাল না বাসলে \কেউ এখানে বাস করতে পারবে না। বাংলোর চৌকিদারকে বল্লাম-রাত্রে এখানে বাঘ আসে। 2 —রোজই হাজার। -शङ्ख्छौ ? -ওভি। ভালক ভি বহৎ আসে। --তোমরা থাকো কি করে ? --কাঁড় নিয়ে বসে থাকি হাজার। আগন করি। এই তো অবস্থা। যত বড় প্রকৃতির রসিকই হোক না কেন. এ নিজজন অরণ্যমিতে কিছদিন, বাস করতে হোলে নিছক প্রকৃতিরসিকতা ছাড়াও আর কিছ থাকা দরকার। সেটা হোল নিভীকতা, নিজজনবাসের শক্তি, নিত্য নািতন বিলাসের লোভসম্পবরণ। জীবন হবে এখানে সব রকম উপকরণের বাহাল্য বিভিজাত, austere, অন্তমািখী। তবে এখানে আনন্দ, নতুবা একদিনের মধ্যেই পালাই পালাই ডাক ছাড়তে হবে । ফিরবার পথে চিড়িয়া থেকে ট্রেন পেলাম না। খনির লোকেরা আমাদের জন্যে লি করে দিলেন, চোদ-পনেরো মাইল পথ বিকেলের ঘন ছায়ায় দাঁধারের বনভূমির ধ্যে দিয়ে ট্রলি করে আসার সে কি আনন্দ ! এই আসার পথে একটা অভিজ্ঞতা হয়েহল যা ভুলবাের নয়। সারাপথ বাতাসে যেন গাজিপরের দামী আতরের গন্ধ ভুরিভুর করচে। বাড়িয়ে এতটকু বলচি না। ট্রলির একজন কুলীকে জিজ্ঞেস করলাম, সে কি কানে আন্তরমাখা তুলো গজেছে ? সে তো অবাক। রাসবিহারীবাবকে বল্লাম, তিনি কোন তেল মেখেচোন ? রাসবিহারীবাব বল্লেন, গন্ধটা তেল বা আতরের নয়, নানা বনকুসমের সম্মিলিত সবাস। -कि शलद्ध ? ট্ৰলি থামিয়ে থামিয়ে আমরা রেল লাইনের কাছাকাছি যত রকমের ফল ফটেছিল, সব তুলিয়ে আনিয়ে দেখলাম। ও-সব কোন ফলেরই সবাস নয়। দেবকাণগুন গন্ধহীন, বন্য শনের ফলে গন্ধহীন, অকিডের দ-একটা ফল, যা চোখে পড়লো গন্ধহীন৷ তবে কোন ফলের গন্ধ ? শালের ফলে এখন ফোটে না। কুরচি, ফলেও তাই। অথচ গোটা চোদ্দাটা মাইল পথ সে সবাসে আমোদ করতে লাগলো। ঘন, মিন্ট, তীব্র সবাস। রাসবিহারীবাব এর কোনো সদত্তর দিতে পারলেন না। বন ছেড়ে আমাদের ট্ৰলি যখন মক্ত প্রান্তরে বের হোল, তখন দরদিগন্তে বোনাইগড় রাজ্যের শৈলশ্রেণীর পেছনে সায্য অস্ত যাচ্ছে। --দিনলিপি সমাপ্ত Addit