পাতা:দিনের পরে দিন - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাসীরা বেশি অপরিচ্ছন্ন, উড়িষ্যা-বাসীদের অপেক্ষা। উড়িষ্যা গহন্থের বাড়িঘর গোবর-মাটি দিয়ে বেশ লেপামোছা, লোকগালিও এত অপরিস্কার নয়। উড়িষ্যার পল্লীগ্রামের কথা পরে বলাচি। আমরা বেলা তিনটের সময় গোকণীটোলা থেকে কাজরা সেন্টশনের দিকে রওনার্চ হই। বন্ধ গহস্বামী গলপ করতে করতে প্রায় এক মাইল রাস্তা আমাদের সঙ্গে এল। আমরা তাকে বার বার বলে এলাম বিদায় নেবার সময়, ভাগলপরে মামলা করতে আসে যদি কখনো, তবে যেন আমাদের বাসায় এসে ওঠে। সন্ধ্যার সময় কাজরা থেকে ট্রেন ছাড়লো। একদিন দাপরের ট্রেনে আমি ভাগলপার থেকে গৈবীনাথ দেখতে গেলাম। সালতানগঞ্জ সেন্টশন থেকে প্রায় আধমাইল কি তার কিছ: কম হোটে গঙ্গার ধার। সেখানে এসে নৌকো করে গৈবীনাথ যেতে হয়-কারণ গৈবীনাথ একটা ছোট পাহাড়, সোজা গঙ্গাগভ থেকে উঠেছে। পাহাড়ের ওপর গৈবীনাথ শিবের মন্দির। আমি যেদিন গিয়েছিলাম, সেদিন ওখানে লোকের যাতায়াত ছিল কম। রেলের ধারে বলে গৈবীনাথে প্রায়ই শনি বা রবিবার লোকজনের ভিড় একটা বেশিই হয়ে থাকে। ঋষ্যশাঙ্গের আশ্রম যত ভালো জায়গায় হোক, অতন্দর রাস্তা আর বনজঙ্গলের মধ্যে বলে সেখানে বড় একটা কেউ যেতে চায় না, যদিও কিউল থেকে জামাই আসবার সময় বাঁ-দিকে যে পাহাড়শ্রেণী ও জঙ্গল দরে দেখা যায়-ওই হল ঋষ্যশােঙ্গ আশ্রমের সেই পাহাড়-কিন্তু ই আই রেলওয়ের মেন লাইনের কোনো সেন্টশনে নেমে সেখানে যাবার রাস্তা নেই-লপ লাইনের কাজরা সেন্টশন ছাড়া। মস্ত বড় একটা তীৰ্থস্থান না হলে, যে কন্টটা হবে তার অন্যপাতে পণ্য কতখানি অজ্ঞজন করে আনতে পারা যাবে সেটা খতিয়ে না বঝে—শাধমাত্র প্রাকৃতিক, দশ্য দেখবার লোভে লোকে অত কািট স্বীকার করে না। ঋষ্যশােঙ্গ মানির আশ্রম অত প্ৰসিদ্ধ তীৰ্থস্থান নয়। কে শীনেচে ওর নাম ? কিন্তু গৈবীনাথে যাতায়াতের সংবিধা খব—সেন্টশন থেকে দ পা হাঁটলেই হল। গঙ্গাগভে পাহাড়, তার ওপরে শিবমন্দির-এর কাছে ঋষ্যশােঙ্গ মানির আশ্রম-টাশ্রমের তুলনা হয় ? বিশেষ করে, যেখানে যেতে হয়। জঙ্গলের মধ্যে তেরো মাইল রাস্তা ভেঙে ? গৈবীনাথ মন্দিরে আমি আরও দাবার গিয়েচি, একবার আমার ভগিনী জাহ্নবী ও আমার ভাই নটী সঙ্গে ছিল—ভাগলপরের প্রসিদ্ধ উকিল দেবতাবাবও সেবার ছিলেন। আমাদের সঙ্গে। প্রথম দিন একা এগিয়ে যে অনভূতি ও আনন্দ পেয়েছিলাম-ঠিক সে ধরনের भाननिक अख्खिऊा जाना अन्ना बाबू श्व नि। আমি গিয়ে প্ৰণাম করে বললাম-বাবাজী, আশীব্বাদ করন। সাধ, হিন্দীতে বললেন-বেচে থাকো বাবা। —আপনি এখানেই থাকেন ? --না, মাস দই এসেচি—তবে কোথায় থাকেন ? —কন্যা-কুমরিকা থেকে উত্তরে বন্দরী-বিশাল পয্যন্ত সব তীৰ্থস্থানেই আমারু যাতায়াত। তেরো বার বন্দরী-বিশাল গিয়েচি। আমাদের আসবার কি ঠিক আছে। কিছ। এখন এখানেই আছি। পরষমানষ না হলে সন্ন্যাসী সেজে লাভ ? একেই বলি প্রকৃত সাধা। এর Ե8