পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"S QNS দিবারাত্রির কাব্য মরে আছি ? বুড়ো হয়ে গেলাম, সখ-টখ আমার আর নেই বাপু, এখন ধন্মোকন্মো সার। ঠাট্টা-তামাসা করি একটু, মিনসে তাও বোঝে না।” স্নান করে এসে চাবি নিয়ে আনন্দ মন্দিরে গেল। মালতী ঘরে ঢুকে এই ভোরে বাসিমুখে গিলে এল খানিকটা কারণ। মালতী প্রকৃতপক্ষে • বৈষ্ণবী, কিন্তু সৱ দিক দিয়ে অনাথের বিরুদ্ধাচরণ করার জন্য মালতী তান্ত্রিক গুরুর কাছে মন্ত্র নিয়েছে । মন্ত্র নিয়ে ধ্যান-ধারণা সমস্ত পৰ্য্যবসিত করেছে। কারণ-পানে। হেরম্বর প্রায় সহ্য হয়ে এসেছিল, তবু ঘুম থেকে উঠেই মালতীর মদ খাওয়া তার বরদাস্ত হল না । সে বাইরে চলে গেল । মন্দিরের দরজায় দাড়িয়ে বলল, “তোমাকে হয়ত আজ ভক্তদের ব্যবস্থাও করতে হবে, না আনন্দ ?” আনন্দ চন্দন ঘষছিল। কাজে আজ তার উৎসাহ নেই। ‘না, মা আসবে।” “তিনি এইমাত্র খালি পেটে কারণ খেলেন। চোখ লাল হতে আরম্ভ করেছে।” “কারণ খেলে মা’র কিছু হয় না।” হেরম্ব দাড়িয়ে দাড়িয়ে খানিকক্ষণ আনন্দের অন্যমনস্ক কাজ করা চেয়ে দেখল। হাত পা নাড়তে আনন্দের যেন বড় কষ্ট হচ্ছে। যেমন তেমন করে পূজার আয়োজন শেষ করে দিতে পারলে সে যেন আজ বঁাচে । তিন দিন আগে বর্ষা নেমেছিল। সেদিন থেকে আনন্দের কি যে হয়েছে । কেউ জানে না, হয়ত আনন্দ নিজেও নয়। অল্পে অল্পে সে গভীর ও কুঁ বিষন্ন হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে যে আবেগময় উদগ্রীব। উল্লাস আপনা। ର