পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8) দিবারাত্রির কাব্য তার থাকতে পারে হেরম্ব আগে তা খেয়াল করে নি। একটা নিশ্বাস ফেলে সে মন্দির-চত্বরে ভক্তদের সভায় গিয়ে বসল। ‘কবে এলি, সুপ্রিয় ?” সে যেন জানত সুপ্রিয়া পুৱীতে আসবে। কবে এসেছে তাই শুধু 61 ७igन् व् | ‘এসেছি। পরশু। আপনি এখানে ক’দিন আছেন ?” “আজি নিয়ে পনের দিন ।” “দিন গোণার স্বভাব তো আপনার ছিল না ?’ বলে সুপ্রিয়া আনন্দের দিকে কুটিল কটাক্ষপাত করল। হেরম্ব হেসে বলল, “এমনি অনেকগুলি স্বভাব আমি অর্জন করেছি সুপ্রিয়া, যা আমার ছিল না। আগেই তোকে বলে রাখলাম। পরে যেন আর গোল করিসনে ৷” মালতী রুক্ষস্বরে বলল, “বড় গোল হচ্ছে । এদের ঘরে নিয়ে গিয়ে বসা না, আনন্দ ? এটা আডা দেবার বৈঠকখানা নয়।” সুপ্রিয়া একথায় অপমানিত বোধ করে বলল, “আমি বরং আজ যাই।” আনন্দ বলল, “না না, যাবেন কেন ? ঘরে গিয়ে বসবেন চলুন ।” হেরম্বও আমন্ত্রণ জানিয়ে বলল, “আয় সুপ্রিয়া ।” অপমান ভুলে সুপ্রিয়া ঘরে গিয়ে বসতে রাজী হল। হেরম্ব জানত রাজী সে হবে। এতক্ষণ মালতী ও আনন্দের সঙ্গে সুকৌশলে আলাপ করে সে কতখানি জ্ঞান সঞ্চয় করেছে হেরম্ব তা জানে না, কিন্তু আনন্দকে দেখার পর এই জ্ঞানলাভের পিপাসা তার অবশ্যই এমন তীব্র