পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8) দিবারাত্রির কাব্য করে সে হয়ে থাকবে বিষন্ন। আনন্দের বর্তমান মানসিক অবস্থায় সহজে এর প্রতিকারও করা যাবে না । গাড়ীতে সুপ্রিয়ার সামনের আসনে বসে আনন্দের কথা ভাবা চলছিল। সে উঠে পাশে এসে বসায় হেরম্বের আর সে ক্ষমতা রইল না । “পাশে বসাই নিয়ম, না ?” হেরম্ব একটু ভেবে বলল, “অন্ততঃ অনিয়ম নয়।” সুপ্রিয়া হেসে বলল, “আসল কথা, কথা বলব। কে একটা লোক পিছনে উঠে বসেছে, শুনতে পাবে বলে সামনে এগিয়ে এলাম।” “তোর প্রগতির অর্থ খুব গভীর সুপ্রিয়া।” সুপ্রিয়া একটু অসন্তুষ্ট হয়ে বলল, “আপনার এই যে কথা বলার ঢং মন্ত্রদাতা গুরুর মত, চিরকাল এই সুর শুনে আসছি। হাস্কা কথা বলেন, তাও উপদেশের মত ভারি। আওয়াজে ।” “একটা কথা ভাবতে ভাবতে অন্য কথার জবাব অমনি করেই দিতে ठूशू ।' "ও, আচ্ছা ভাবুন। আমি চুপ করলাম।” বাড়ীর দরজায় গাড়ী থামা পৰ্য্যন্ত সুপ্রিয়া সত্যই চুপ করে রইল। যেখানে তারা বাড়ী নিয়েছে সেখান থেকে সমুদ্রের আওয়াজ শোনা DD DS DDDD BB D DBBBD BDD Bg D DB S SBBBD BBBS হেরম্বকে বাড়ীর বাজে অংশ পার করিয়ে একেবারে তার শোবার ঘরে নিয়ে হাজির করল । হেরম্ব লক্ষ্য করল, ঘরখানা দোকানের মত সাজানো নয়, শয়ন-ঘরের মতও নয়। বিদেশ বলে বোধ হয়। ঘরে আসবাব বেশী নেই, অস্থায়ী বলে সুপ্রিয়ার নেই ঘর সাজাবার উৎসাহ ।