পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিবরাত্রির কাব্য ۵۹ مهر মনে তার এই চিন্তাকে ভাষায় উচ্চারণ করে,-সুপ্রিয়ার মুখের আলো নিভে যাবার কথা । তার শেষ কথায় সুপ্রিয়া তে কঁাদিত । হেরম্বের সবচেয়ে বিস্ময় বোধ হয় সুপ্রিয়ার দীর্ঘ নীরবতায় । নিরিবিলিতে কথা বলতে এসে তার কথা যেন ইতিমধ্যেই ফুরিয়ে গিয়েছে। বেলা শেষ হয়ে আসে, তবু সুপ্রিয়া কিছু বলে না । এই নীরবতা যে রাগ অথবা অভিমানের লক্ষণ নয় তাও সহজেই বোঝা যায়সুপ্রিয়ার মুখে কোন অভিব্যঞ্জনা নেই বলে শুধু নয়, সরে সরে অতি নিকটে এসে তার আধ” অন্যমনস্ক বসবার ভঙ্গিতে । খোলা চুল সে আর বঁধেনি, আঁচল জড়িয়ে গলার সঙ্গে বেঁধে ফেলেছে, অনাবৃত মাথায় শুধু কয়েকটি আলগা চুল বাতাসে উড়ছে। হেরম্বের জামার যেটুকু বালিতে বিছানো হয়ে আছে তাতে সে পেতেছে হাত, সে হাতে দেহের উৰ্দ্ধাংশের ভর রেখে হাঁটু মুড়ে কান্ত হয়ে বসেছে। সে যেন হেরম্বকে উঠতে দেবে না, জামা ধরে বসিয়ে রাখবে। অথবা বৃন্তচু্যত ফুলের মত হেরম্বের কোলে ঝরে পড়ার জন্য সে শুধু হাতটির অবশ হওয়ার প্ৰতীক্ষা করছে। এখন একটু চেষ্টা করলেই হেরম্ব আনন্দকে ভুলে যেতে পারে। ফেননন্দিত সাগরকুলে জনহীন দিব্যাবসানের বৈরাগ্যকে একটু প্রশ্রয় দেওয়া, সরল মনে একবার স্মরণ করা পার্শ্ববৰ্ত্তিনীর জীবনেতিহাস। সে তো কঠিন নয়। কত দিনের কত ক্ষুধা ও পিপাসা, কত স্বপ্ন ও সঙ্কল্প সঞ্চয় করে সুপ্রিয়া আজ এমন শিথিল ভঙ্গিতে এত কাছে বসেছে সে ছাড়া আর কার তা স্মরণীয় ? নিজেকে হেরম্বের দুর্বল ও অসহায় 瓦可交弧