পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- আনন্দ মুখ তুলে তিরস্কার করে বলল, “রাগ করবে না বলে রাগ করছি যে ?” ‘রাগ করব না, এমন কথা আমি কখনো বলি নি ।” আনন্দের চোখ ছল ছল করে এল। সে আবার মাথা নীচু করে বলল, “ঝগড়া করার সুযোগ পেয়ে তুমি ছাড়তে চাইছ না। আমি গোড়াতেই বলি নি আমি ছোটলোক হয়ে গেছি ? আমার একটা খারাপ অসুখ হলে কি তুমি এমনি করে ঝগড়া করবে ?” হোরম্বের কথা সত্য সত্যই রুক্ষ হয়ে উঠছিল। সে গলা নরম করে বলল, “ঝগড়া করি নি, আনন্দ । তুমি আমার সম্বন্ধে যা ভেবেছ তাতেও আমি রাগ করি নি। তুমি নিজেকে কি যেন একটা ঠাউরে নিয়েছ, আমার রাগের কারণ তাই। তুমি কি ভাব তুমি মানুষ নও, স্বর্গের দেবী ? কখনো খারাপ চিন্তা তোমার মনে আসবে না ? মানুষের মনে হীনতা আসে, মানুষ সেজন্য আত্মগ্লানি ভোগ করে, কিন্তু এই তুচ্ছ সাময়িক ব্যাপারে তোমার মত বিচলিত কেউ হয় না।” আনন্দ বিবৰ্ণ মুখে বলল, “আমার কি ভয়ানক কষ্ট হচ্ছে যদি Site ‘জানি। হওয়া কিন্তু উচিত নয়। আজ তুমি একবার আমাকে বললে তোমার ভয় হচ্ছে, আমাদের ভালবাসা বুঝি, মরেই গেল -এখন বলছি আমি তোমাকে লোভ করেছি, ভালবাসি নি। এ সব চিত্তচাঞ্চল্য আনন্দ, বিচলিত হয়ে এ সমস্তকে প্রশ্রয় দিতে নেই।” আনন্দ আবার মুখ তুলেছিল, তার তাকাবার ভঙ্গী দেখে হেরম্বের মন উদ্বেগে ভরে গেল। আনন্দ যেন তাকে চিনছে, আনন্দের দামী