পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

' ᏬᎣ দিবারাত্রির কাব্য যায়, এই থিয়োরি হয়ত সত্য নয়। আজ বুঝলাম আমার সন্দেহ সত্যি ! g3. Skok দেখলে, অশোক ? স্ত্রীকে খুন করে তার দাম দেবার ভয়ে ও একবারে মরে গেছে! এটা ভালবাসার লক্ষণ নয়। ও শুধু খুনী, স্রেফ খুনী ; প্রেমিক আমি ওকে বলব না। না, স্ত্রীকে ও ভালবাসত না। স্ত্রী আর একজনকে ভালবাসে বলে যে তাকে খুন করে অথবা কষ্ট দেয়, অবহেলা করে, স্ত্রীকে সে ভালবাসে না। তুমি বুঝতে পার না। অশোক, ভালবাসার বাড়া-কমা নেই ? ভালবাসা ধৈৰ্য্য আর তিতিক্ষণ ? একটা একটানা উগ্ৰ অনুভূতি হল ভালবাসা, তুমি তাকে বাড়াতে পার না কমাতে পার না ? স্ত্রীকে খুন করে ফেলতে চাও কর, কিন্তু তারপর একদিনের জন্য যদি তোমার ভালবাসায় ভাটা পড়ে, মনে হয় খুন না করলেই হত ভাল, সেইদিন জানবে, ভালবেসে স্ত্রীকে তুমি খুন কর নি, করেছিলে অন্য কারণে। স্ত্রীকে যে ভালবাসে সে অপেক্ষা করে। ভাবে, এখন ও ছেলেমানুষ, আর একজনের স্বপ্ন। দেখছে। দেখুক, যৌবনে ওর প্রেম পাব। ভাবে, যৌবন ওকে অন্ধ করে রেখেছে ও তাই অতীতের অন্ধকারটাই দেখছে। দেখুক, যৌবন চলে গেলে আমি ওকে ভালবাসাব । আচ্ছা অশোক, তোমার কি কখনো মনে হয় না যে প্ৰিয়া আর একজনকে ভালবাসছে এই অবস্থাটাকে মৃত্যু দিয়ে অপরিবর্তনীয় করে দেওয়া বোকামি ? কষ্ট দিয়ে আর একজনের প্রতি এই ভালবাসাকে,-এই মোহকে প্ৰবল আর স্থায়ী করে দেওয়া মুখামি ? একি স্ত্রীকে ভাল না বাসার প্রমাণ নয় ? এর চেয়ে স্ত্রীকে বঁচিয়ে রেখে, তাকে সুখী করে-” সুপ্রিয়া দরজার কাছে দাড়িয়ে শুনছিল । চেরম্বের বক্তৃতার ঠিক