পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিবরাত্রির কাব্য G8 বিস্মিত ও অভিভূত হয়ে সে আনন্দকে দেখতে লাগল। তার মনের উপর দিয়ে কুড়ি বছর ধরে যে সময়ের স্রোত বয়ে গেছে তাই যেন কয়েকটি মুহুর্তের মধ্যে ঘনীভূত হয়ে এসেছে। এই উচ্ছসিত আবেগ হেরম্বের মনে প্রশ্রয় পায় । আবেগ আরও তীব্র হয়ে উঠলেই সে যেন তৃপ্তি পেত। তার বন্দী কল্পনা দীর্ঘকাল পরে হঠাৎ যেন আজ মুক্তি পায়। তার সবগুলি ইন্দ্ৰিয় অসহ উত্তেজনায় অসংযত প্ৰাণ সঞ্চয় করে ! চারিদিকের তরুলতা তার কাছে অবিলম্বে জীবন্ত হয়ে ওঠে । শেষ অপরাহের রঙীন সুৰ্য্যালোককে তার মনে হয় চারিদিকে ছড়িয়ে-পড়া রঙীন স্পন্দমান জীবন । বাড়ীর দরজা থেকে কাছে এসে দাড়ানো পৰ্য্যন্ত আনন্দ হেরম্বকে . নিবিড় মনোযোগের সঙ্গে দেখেছিল । সে এসে দাড়ানো মাত্র হেরম্ব তার চোখের দিকে তাকাল । কৌতুহল আন্তহিত হয়ে আনন্দের চোখে তখন ঘনিয়ে এল ভাব ও ভয় । হেরম্ব এটা লক্ষ্য করেছে। সে জানে এই ভয় ভীরুতার লক্ষণ নয়, মোহের পরিচয় । আনন্দের চোখে যে প্রশ্ন ছিল, হেরম্বের নির্বক নিক্ৰিয় জবাবটা তাকে মুগ্ধ করে দিয়েছে। সুপ্রিয়াকে ত্যাগ করে এসে হেরম্বের যা হয় নি, এখন তাই হল । নিজের কাছে নিজের মূল্য তার অসম্ভব বেড়ে গেল। সে জটিল জীবনBLB BDD SS DBBDD DuuDS DBD D BD S DDBD DBLBBD DBBBB অপরাধী, অহরহ তাকে আত্মসমর্থন করে চলতে হয় । জীবনে সে এত বেশী পাক খেয়েছে যে মাথা তার সর্বদাই ঘোরে। আনন্দ, পুলক ও উল্লাস সংগ্ৰহ করা আজ তার পক্ষে অত্যন্ত কঠিন কাজ। কিন্তু আনন্দ আজ তাকে আর তার দৃষ্টিকে দেখে মুগ্ধ হয়ে, বিচলিত হয়ে, তাকে