পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գ9 দিবরাত্রির কাব্য সমস্ত মনোধৰ্ম্মকে আশ্রয় করেছিল। নিজেকে অকস্মাৎ উচ্ছসিত ও · মুগ্ধ অবস্থায় আবিষ্কার করার বিশ্ব অপনোদিত হয়ে গিয়েছিল । তার মন সেই স্তরে উঠে এসেছিল যে?ানে আনন্দের অনির্বচনীয় আকর্ষণ চিরন্তন সত্য । আনন্দকে চোখে দেখা ও তার কথা শোনা হেরম্বের অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। নেশা জমে এলে যেমন মনে হয়। এই নেশার অবস্থাটিই সহজ ও স্বাভাবিক, আনন্দের সান্নিধ্যে নিজের উত্তেজিত অবস্থাটিও হেরম্বের কাছে তেমনি অভ্যস্ত হয়ে এসেছিল। আনন্দ এখন তাকে আবার নতুন করে মুগ্ধ ও বিচলিত করে দিয়েছে। বয়স্ক হেরম্বের মনেও যে লোকটি এক রহস্যময় মায়ালোকবাসী হয়ে আছে নিজেকে সেই অনাথের অনুরক্ত কন্যা বলে ঘোষণা করে আনন্দ তার আবিষ্ট মোহাচ্ছন্ন মনের উন্মাদনা আরও তীব্র আরও গভীর করে দিয়েছে । প্রেমিকের কাছে প্রেমের অগ্ৰগতির ইতিহাস নেই। যতদূরই এগিয়ে যাক সেইখান থেকেই আরম্ভ। আগে কিছু ছিল না। ছিল। অন্ধকারের সেই নিরন্ধ কুলায়, যেখানে নব জন্মলাভের প্রতীক্ষায় কঠিন আস্তরণের মধ্যে হৃদয় নিম্পন্দ হয়ে ছিল । হেরম্ব জানে না তার আকুল হৃদয়ের আকুলতা বেড়েছে, এ শুধু বৃদ্ধি, শুধু ঘন হওয়া। আনন্দের BBDS BBDBDBD DBB DBDDBLSDDL sBBBD BDBEBDLSS LLBDBDDDBD SDLL DDBS সে সচেতন হল। এক মুহূৰ্ত্ত আগে নয়। এক মুহুৰ্ত্ত আগে তার হৃৎপিণ্ড স্পন্দিত হচ্ছিল কেবল শিরায় শিরায় রক্ত পাঠাবার প্রাত্যহিক প্রীতিহীন প্রয়োজনে । এইমাত্র আনন্দ তালু স্পন্দনকে অসংযত করে দিয়েছে । খানিক পরে মালতী উঠে দাড়াল।