পাতা:দিবারাত্রির কাব্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিবরাত্রির কাব্য ԵՀ “কিন্তু আসল কাজটা কি ? মানুষের যা নেই ?” “এ প্রশ্নেরও জবাব নেই আনন্দ । (मश्त्र কি নেই তাও মানুষের বুঝবার উপায় নেই। কাজ না পেয়ে মানুষ অকাজ করছে এটা বোঝা যায়। কিন্তু তার কাজ কি হতে পারত তার কোন সংজ্ঞা নেই। এর কারণ কি জান? মানুষ যে স্তরের, তাঁর জীবনের উদ্দেশ্য সেই স্তরে নেই। ঈশ্বরের মত, শেষ সত্যের মত, আমিত্বের মানের মত সেও মানুষের নাগালের বাইরে । জীবনের একটা অর্থ এবং পরিণতি অবশ্যই আছে, বিশ্ব-জগতে কিছুই অকারণ হতে পারে না। সৃষ্টিতে অজস্র নিয়মের সামঞ্জস্য দেখলেই সেটা বোঝা যায় । কিন্তু জীবনের শেষ পরিণভি জীবনে নেই। মানুষ চিরকাল তার সার্থকতা খুজবে, কিন্তু কখনো তার দেখা পাবে না। যোগী ঋষি হার মানলেন, দার্শনিক হার মানলেন, কবি হার মানলেন, অমাজ্জিত আদিমধৰ্ম্মী মানুষও হার মানলে। চিরকাল এমনি হবে । কারণ, মানুষের সমগ্ৰ সত্তাকে যা ছাড়িয়ে আছে, মানুষ তাকে আয়ত্ত করবে কি করে ” কথা বলার উত্তেজনায় হেরম্বের সাময়িক বিস্মৃতি এসেছিল। শব্দের মোহ তার মন থেকে আনন্দের মোহকে কিছুক্ষণের জন্য স্থানচ্যুত করৈছিল। জীবন সম্বন্ধে বক্তব্য শেষ করে পুনরায় আনন্দের সান্নিধ্যকে পূর্ণমাত্রায় অনুভব করে সে এই ভেবে বিস্মিত হয়ে রইল যে শ্রোতা ভিন্ন আনন্দ এতক্ষণ তার কাছে আর কিছুই ছিল না। আনন্দকে এতক্ষণ সে এমনি একটা সাধারণ পৰ্য্যায়ে ফেলে রেখেছিল যে শ্রবণশক্তি ছাড়া ওর আর কোন বিশেষত্বের সম্বন্ধেই সে সচেতন হয়ে থাকে নি। হেরম্ব বোঝে, বিচলিত হবার মত ক্ৰটি অথবা অসঙ্গতি এটা নয়। কিন্তু ছেলে