পাতা:দিল্লীশ্বরী.djvu/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিল্লীশ্বরী \L8 হাব শী জমাল-উদ্দীন রাণীকে ঘোড়ায় চড়াইয়া দিত। ব্যাপারটা নূতন নছে ; স্বলতানের, এমন কি, মোগল বাদশাহ বাও অশ্বপালের সাহায্যে ঘোড়ায় উঠিতেন। আর একালেও কি বড়মার্চুষের সহিসের কাধে ভর না দিয়া ঘোড়ায় উঠেন ? রমণী হুইয়াও তিনি এই বাদশাঃী-দস্তুর পরিহার করেন নাই ; তাহার পর দেখা যাইতেছে, এই বিজাতীয় হাব শীটি রাণীর একটু অধিক অনুগ্রহভাজন হইল! আর কি বৃক্ষ আছে ? তুকী সামীরমালিকগণের মনের ছাই-চাপা আগুন একেবারে দাউ দাউ করিয়া জলিয়া উঠিল। মহাপুরুষের কথা অমান্ত করিয়া এই নারী সিংহাসনে বসিয়াছে, পর্দার আড়াল ঘুচাইয়াছে, ঘোড়ব চড়িয়া রাজপথে বাহির হইয়াছে, তাগর উপর তুর্কীগণের চক্ষুশূল যে অসভ্য হাংশ, সেই জাতের একটা নগণ্য লোক-জমালউদ্ধানের উপর অনুগ্রহ । সে অন্তগ্রহের মাত্রাটাও আবার একটু বেশী । ক্ৰোধোন্মত্ত তুর্কী-প্রধানের রাণীর সর্মনাশ-সাধ ে জঙ্গ চারি দিকে অসন্তোযের অনল ছড়াইতে লাগিলেন । রাণীর কাৰ্য্যে অনেকেরই মনের সনাতন জড়তায় আঘাত লাগিছিল, স্বতরাং দল ক্রমশঃ পুষ্ট হইয়া উঠিল। রাজ্ঞী অসন্তোষের কারণ জানিয়াও প্রতিকার করিলেন না,— জমাল-ষ্টুনের প্রতি অনুগ্রহের ভাব অক্ষুণ্ণ রাখিলেন। জমালও মৃত্যুকাল পর্যন্ত তাহার নিমকের মান রক্ষা করিতে পশ্চাৎপদ হয় নাই । তবরংিলার সামন্তরাজ অস্তুনিয়ার ক্ষমতা ছিল অসাধারণ।