পাতা:দিল্লী চলো - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 ৫। নিপ্পন-গবর্নমেণ্টের আনুকূল্যে আমরা স্বাধীন রাজ্যরূপে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ পেয়েছি।

 ৬। ব্রহ্মে আমাদের প্রধান কর্ম্মকেন্দ্র এগিয়ে এনেছি এবং ১৯৪৪এর ফেব্রুয়ারী মাসে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম-সুরু করেছি। ২১শে মার্চ্চ আমরা বিশ্বের দরবারে ঘোষণা করতে পেরেছিলাম যে, আমাদের সৈন্যদল ভারতে পৌঁছেছে।

 ৭। আমরা সংবাদ ও প্রচার বিভাগের কাজ যথেষ্ট বাড়িয়েছি।

 ৮। আমরা স্বাধীন ভারতের শাসন ও পুনর্গঠনের কাজ গ্রহণের জন্যে “আজাদ-হিন্দ দল” নামে একটি পৃথক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি।

 ৯। আমরা ব্রহ্মে “ন্যাশন্যাল ব্যাঙ্ক অব আজাদ-হিন্দ লিমিটেড” নামে আমাদের নিজেদের ব্যাঙ্ক স্থাপন করেছি। আমরা নিজেদের স্বতন্ত্র মুদ্রা-নির্ম্মাণের নির্দ্দেশ দিয়েছি এবং আশা করি, অদূর-ভবিষ্যতে সে মুদ্রা আমাদের হাতে আসবে।

 ১০। আমরা রণাঙ্গনের প্রত্যেক অঞ্চলে নিজেদের কৃতিত্ব দেখিয়েছি এবং সর্ব্বপ্রকার অসুবিধা ও কষ্ট সত্ত্বেও আমাদের সৈন্যরা ধীর স্থির ভাবে ভারতের মাটির উপর দিয়ে এগিয়ে চলেছে।

 আমাদের ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নিম্নোক্ত সংক্ষিপ্তাকারে প্রকাশ করা চলে—

 ১। রণাঙ্গনে আমাদের সাফল্য বজায় রাখতে হবে এবং ভারতের মধ্যে ক্রমাগত আরও এগিয়ে যেতে হবে। এই উদ্দেশ্যে রণাঙ্গনে অবিরত আমাদের নতুন সৈন্য ও সরবরাহ প্রেরণ করতে হবে।

 ২। আজাদ-হিন্দ দলকে সম্প্রসারিত করতে হবে। ভবিষ্যতে আমাদের সেনাবাহিনী যতই ভারতের মধ্যে এগিয়ে যাবে ততই আজাদ হিন্দ দলকে আরও বেশী কার্য্যভার গ্রহণ করতে হবে। স্বাধীন ভারতের

৩৩