পাতা:দীনবন্ধু গ্রন্থাবলী.djvu/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীল-দৰ্পণ \r金 মহাজন-মহাজনের ধান্তক্ষেত্রে ভ্রমণের সহিত তুলনা করিতেন না—আমাদের সঙ্গে মহাজনদের অনেক ভিন্নত । উড। আচ্ছ, আমারে বুঝাও । কিছু কারণ থাকিতে পারে, শালা লোক অামাদিগের সব কথা বলিতেছে, মহাজনের কথা কিছু বলে না । গোপী । ধৰ্ম্মাবতার, খাতকদিগের সম্বৎসরের যত টাকা অবিশু্যক সকলি মহাজনের ঘর হইতে আনে এবং আহারের জন্য যত ধান্ত প্রয়োজন তাহা মহাজনের গোলা হইতে লয়, বৎসরাস্তে তামাক ইক্ষু তিল ইত্যাদি বিক্রয় করিয়া মহাজনের মুদ সমেত টাকা পরিশোধ করে অথবা বাজারদরে ঐ সকল দ্রব্য মহাজনকে দেয় এবং ধান্ত যাহা জন্মে তাহা হইতে মহাজনের ধান্ত দেড় বাড়িতে অথবা সাড়ে সইয়ে বাড়িতে ফিরিয়া দেয়, ইহার পর যাহা থাকে তাহাতে ৩/৪ মাস ঘরখরচ করে । যদি দেশে অজন্মাবশতঃ কিম্বা খাতকের অসঙ্গত ব্যয় জন্য টাকা কিম্বা ধান্ত বাকি পড়ে তাহ বকেয়া বাকি বলিয়া নতুন খাতায় লিখিত হয়, বকেয়া বাকি ক্রমে২ উস্থল পড়িতে থাকে, মহাজনেরা কদাপিও খাতকের নামে নালিশ করে না, সুতরাং যাহা বাকি পড়ে তাহা মহাজনদিগের আপাততঃ লোকসান বোধ হয় এই জন্য মহাজনের কখন২ মাঠে যায়, ধানের কারকীত রীতিমত হইতেছে কি না দেখে, খাজান বলিয়া যত টাকা খাতকে চাহিয়াছে তদুপযুক্ত জমি বুনন হইয়াছে কি না তাহ অমুসন্ধান করিয়া জানে। কোন২ অদূরদর্শী খাতক প্রতারণা করিয়া অধিক টাকা লইয়া সৰ্ব্বদাই ঋণে বিব্রত হইয়। মহাজনের লোকসান করে এবং আপনারাও কষ্ট পায়, সেই কষ্ট নিবারণের জন্তেই মহাজনের মাঠে যায়, “নীলমামদো” হইয়া যায় না ( জিব কেটে) ধৰ্ম্মাবতার এই নেড়ে হারামখোর বেটার বলে।