পাতা:দীর্ঘকেশী - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৬
দারােগার দপ্তর, ১৫৯ সংখ্যা।

চামড়াওয়ালা যখন উহাকে এত যত্ন করিয়া রাখিয়াছিল, যাহার নিমিত্ত এতদিন অকাতরে ব্যয় করিতেছিল, সেই যখন সামান্য ঝগড়া করিয়া তাহার বাড়ী পরিত্যাগ করিল, তখন ইহার নিমিত্ত সে একবার অনুসন্ধানও করি না, বা তাহার পিতা-মাতাকে কোনরূপ সংবাদও প্রদান করিল না, ইহা কি নিতান্ত সন্দেহের কারণ নহে? যাহার নিমিত্ত চামড়াওয়ালা ঘর ভাড়া করিয়া দাস-দাসীর বন্দোবস্ত করিয়া দিয়াছিল, যাহার দরজায় বসিয়া বোয়ানে পাহারা দিত, সে যখন ক্রোধভরে ঘর পরিত্যাগ করিল, অমনি দাস-দাসীর জবাব হইল, দরোয়ান স্থানান্তরিত হইল, সদর দরজায় তালা পড়িল, ইহাও কি বিশেষ সন্দেহের কারণ নহে। মনে মনে এইরূপ ভানিয়া সাহসের উপর ভর ও ঈশ্বরের উপর নির্ভর করিয়া, পুনরায় কার্য্যক্ষেত্রে প্রবিষ্ট হইলাম।



অষ্টম পরিচ্ছেদ।


 এবার আমাদিগের সর্বপ্রধান কার্য্য হইল সেই চামড়াওয়ালাকে গ্রেপ্তার করা। তাহার সেই বাড়ীর ভিতর উত্তমরূপে অনুসন্ধান করা, ও সেই বাড়ীতে যে সকল দাস-দাসী ও দারোয়ান ছিল, অনুসন্ধান করিয়া তাহাদিগকে বাহির করা। এই সকল কার্য্য যত শীঘ্র সম্পন্ন করা যাইতে পারিবে, কার্য্যের পক্ষে ততই সুবিধা হইবে, সুতরাং অপরাপর কর্মচারীর এই কার্যের নিমিত্ত