পাতা:দুঃখিনী - জলধর সেন.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুঃখিনী। 而叫可外缸冈山 চারি পাঁচ দিনের মধ্যেই বৃদ্ধ রামকৃষ্ণের যত্নে প্ৰথমে পাড়ার ১•১২টি বালক, দুঃখিনীর বাটীতে উপস্থিত হইতে লাগিল। দুঃখিনী বড়ঘরের বায়ান্দায় তাহাদিগকে পড়াইতে লাগিলেন। গ্রামের কত লোক আসিয়া দুঃখিনীর এই নূতন পাঠশালা দেখিতে আরম্ভ করিল। সকলেই তঁাকার পড়াইবার রীতি এবং তাহার সদ্ব্যবহার দেখিয়া বড়ই সন্তুষ্ট হইতে লাগিল। পাড়ার যে লোক, একদিন দুঃখিনীর পাঠশালা দেখিতে আসিত, সেই তাহার পর দিন হইতে নিজের শিশুসন্তানটিকে পাঠশালায় পাঠাইয়া ऊि । একদিন গ্রামের সেই মহাজন আসিয়া উপস্থিত হইলেন। তখন অপরাহু। পাঠশালার ছুটী হইয়াছে; বালকসকল বাটী চলিয়া গিয়াছে। দুঃখিনী বারান্দা পরিষ্কার করিতেছেন। দুঃখিনী যদিও রামকৃষ্ণের বাটীতে বাস করিতেন, তবু প্ৰায় সমস্ত দিন বাটীতে থাকিতেন, এবং তঁহাদের বাটী দেখিলে বোধ হইত, যেন মালক্ষ্মীর আবাসস্থল। অপরিষ্কার থাকা দুঃখিনীর স্বভাবই নহে। মহাজনকে আসিতে দেখিয়াই দুঃখিনী প্ৰথমে বসিবার এক খানি সামান্য আসন দিয়া কঁাদিতে লাগিলেন। মহাজন লোকটী নিতান্ত মন্দ নহেন ; দুঃখিনীর কান্না দেখিয়া তাহার মনে একটু দয়ার সঞ্চার হইল। তিনি বলিলেন, দুঃখিনী ! তোমার সমুহ বিপদ ; 8ty