পাতা:দুঃখিনী - জলধর সেন.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুঃখিনী । মুর্থ মনে করিল সেই কৃতজ্ঞতায় দুঃখিনী তাহার পাপ পথের পথিক হইবে। এ কথাও সে তাহার ইয়ারদিগের নিকট ব্যক্তি করিয়াছিল। রমানাথ দুই চারি দিন দুঃখিনীৱ বাটীতে, যাতায়াত করিতে লাগিল ; দুঃখিনী রামানথাকে দেখিয়াই জড়সড় হইয়া ঘরের মধ্যে যান ; রমানাথ কথা জিজ্ঞাসা করিলে নিজে উত্তর দেন না, যদি সেখানে কেহ থাকে, তবে তাহার দ্বারা উত্তর দেওয়ান, নতুবা কিছুই বলেন না, রমানাথের প্রধান অভিপ্ৰায় আপাততঃ দুঃখিনীকে নিজ বাটীতে লইয়া যাওয়া ; এজন্য সময়ে সময়ে রমানাথ যুক্তি দেখাইতেও ক্ৰটী করিত না। যুক্তিগুলি অবশ্যই ভাল, বিধবা দুঃখিনী তাহা বুঝিতেন ; দুঃখিনী বুঝিতেন যে, স্ত্রীলোকের প্রধান ধৰ্ম্ম শ্বশুরশাশুড়ীর সেবা এবং তঁহাদের অভাবে স্বামীর পরিবারের অন্যান্য ব্যক্তির সেবা ; কিন্তু যখনই তিনি রমানাথের কথা মনে করিতেন, তখনই শ্বশুরবাড়ী যাওয়ার আশা ত্যাগ করিতেন। মনে করিতেন, সেখানে গেলে তঁাহাব সমূহ বিপদ। একদিন রামকৃষ্ণের বড় মেয়ে জিজ্ঞাসা করিলে দুঃখিনী বলিয়াছিলেন, “দেখ ! পৃথিবীতে যাহার স্বামী নাই, তাহার মত হতভাগিনী নাই ; কিন্তু স্বামীর মৃত্যুতেই স্ত্রীলোকের সমস্ত কাজ ফুরায় না। অন্যান্য দেশের মেয়েদের সঙ্গে আমাদের একটী বিষয়ে প্রভেদ আছে। আমরা বিলাতের মেয়েদের কথা শুনিয়াছি, তাহারা অনেকগুলিতে একসঙ্গে বাস করে না। এমন কি পিতা উপাৰ্জনক্ষম পুত্রের সঙ্গে একত্র বাস করেন না। ইহাতে