পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাড়ি কে এক ভদ্রলোক এসেচেন, তিনি ওকে ডেকে গল্প করলেনকাছে বসালেন-ও বলছিল আমায়-তাহলে জ্যাঠাইমা বলতে ভুলে গিয়েচেন । ব্যস্ত আছেন। কিনা অতিথি নিয়ে। আসুন, বসুন--দালানের মধ্যে বসবেন না রোয়াকে ? আজি বডড গরম-ভাদ্র মাসের গুমটি--রোয়াকেই বসি বেশ হাওয়া আছেমঞ্জু যেন খানিকটা আপন মনেই বলিল-দেখুন তো চপগুলো সব জুড়িয়ে জল হয়ে গেল-এখন কি খেতে ভালো লাগে ? বিকেলে বেশ গরম ছিল-খেয়ে কিন্তু নিন্দে করতে পারবেন না । নিধু হাসিয়া বলিল-কেন, নিন্দেই তো করব, খারাপ হলেও ভালো বলতে হবে ? -খারাপ কক্ষনো হয়নি। রান্নায় আমি স্কুলে সার্টিফিকেট পেয়েছি।-- জানেন তা ? তবে জুড়িয়ে গেলে-আপনি বসুন, আমি ওগুলো গরম করে নিয়ে আসিআধঘণ্টা পরে মঞ্জু, নৃপেন, বীরেন ও নিধু বসিয়া গল্প করিতেছিল। হঠাৎ মঞ্জু বলিল-চলুন ছাদে যাই নিধুদা, বড় গরম এখানো-চল মেজদাসবাই মিলিয়া খোলা ছাদে সতরঞ্চি পাতিয়া আসর জমাইল। নানা ভূতের গল্প, শহরের গল্প, বীরেনের মুখে উৎসাহের সহিত বর্ণিত গতি সপ্তাহে কলিকাতায় ফুটবল খেলার গল্প ইত্যাদিতে আডা মুখর হইয়া উঠিল। ছাদের ওপারে মুইয়া পড়া বাঁশঝাড়ে রাতচরা কোনাে পাখির ডানা ঝটপট । পরিষ্কার শরতের আকাশে সুস্পষ্ট জলজলে নক্ষত্র।রাজি ও d9ि6ों छाम्रां*थ । নিধু যেন নতুন মানুষ হইয়া গিয়াছে। জীবনে যেন সে এই প্ৰথম আনন্দ কাহাকে বলে জানিয়াছে। এরা কত ভালো ভালো জায়গার গল্প বলিতেছে -কখনো নিধু সে সব দেশে যায়ও নাই-কলিকাতায় গেলেও সেখানকার SON)