পাতা:দুই বাড়ি - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈঠকখানায় অনেক লোক। লালবিহারীবাবু, নিধুর বাবা, সাবডেপুটি ও মুন্সেফ'বাবু, উপেন হালদার ও স্থানীয় স্কুলের পণ্ডিত উমাপদ ভট্টাচাৰ্য সকলে মিলিয়া বসিয়া পল্লীগ্রামের বর্তমান দুর্দশার কথা আলোচনা করিতেছেন । সুনীলবাবু নিধুকে দেখিয়া বলিয়া উঠিলেন-আরে এই যে নিধিরামবাবু! মশাই, রাস্তা বড় ভয়ানক, জায়গায়-জায়গায় এমন কাদা যে সাইকেল চলে না-কঁধে তুলে আনতে হয়েচে-বসুন। মুন্সেফ'বাবু বলিলেন-আপনাদের বাড়িটা কোন দিকে ? আমরা GIRONS Kনিধুর বাবা রামতারণ বিনয়ে ভাঙিয়া পড়িয়া বলিলেন-যাবেন বই কি ! গরিবের কুঁড়েতে আপনাদের মতো মহৎ লোকের পায়ের ধুলো পড়বে এ আমরা আশা করতে পারিনে-লালবিহারী ‘ ভায়া আমাদের গ্রামের চুড়ো—উনি আজ এসেচেন বলেই আপনাদের মতো লোকেরাসকলে মিলিয়া গ্রাম দেখিতে বাহির হইল। গ্রামে দ্রষ্টব্য স্থানের মধ্যে একটা ভাঙ্গা শিবমন্দির ছাড়া অন্য কিছুই নাই। উমাপদ পণ্ডিত সেটির মধ্যে নিজে ঢুকিয়া সকলকে ভিতরে আসিতে বলিলেন। সাপের ভয়ে কেহই ভিতরে গেল না-কবাটহীন দরজার কাছে দাড়াইযা উকি মারিয়া দেখিল - নিধুর বাড়ির বাহিরের ঘরেও সকলে একবার আসিয়া বসিলেন। নিধুচা ও খাবারের ব্যবস্থা পূর্ব হইতেই করিয়া রাখিয়াছিল—সকলকে রেকবি n O Vb